বেটা
মার্চ ৯, ২০২৩, ১০:১৫ এএম
কিডনি রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোও তাদের কর্মসূচির মাধ্যমে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ‘বিশ্ব কিডনি দিবস’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বাস্থ্যখাতে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো- ইনশাআল্লাহ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব কিডনি দিবস-২০২৩’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য প্রত্যাশিত দুর্যোগের প্রস্তুতি, প্রয়োজন ঝুঁকিপূর্ণদের সহায়তা’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছিলেন জানিয়ে সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’
‘আমরা একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করেছি এবং এই নীতি বাস্তবায়ন করছি। আমাদের সরকার নতুন মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল, হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ও চিকিৎসা সেবা বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে,’ বলেন তিনি।
গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা দিতে দেশজুড়ে সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ উদ্যোগের ফলে শিশু ও মাতৃ-মৃত্যুহার অনেক কমেছে। পিএসসির মাধ্যমে নতুন কয়েক হাজার চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সরকারের নেয়া নানামুখী পদক্ষেপের ফলে আমরা স্বাস্থ্যখাতে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছি, যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হচ্ছে।’
‘বিভিন্ন কারণে বিশ্বজুড়ে কিডনি রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। কোভিড-১৯ মহামারিতেও অনেকে নতুন করে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অথবা আগে থেকেই আক্রান্ত ব্যক্তিদের রোগের অবনতি হয়েছে। তাই এ ধরনের দুর্যোগ পরিস্থিতির জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত এবং প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার লোক ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে জীবন ধারণ করছেন। জনসচেতনতা বাড়ানো গেলে ও প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করতে পারলে অনেক কিডনি রোগ প্রতিরোধযোগ্য বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আমাদের সরকারের প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগ সনাক্ত করা সম্ভব। এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ ও কিডনি বিকল হওয়ার ঝুঁকি কমবে। আমরা প্রতিটি বিভাগে এবং জেলা পর্যায়ে কিডনি রোগীদের জন্য হাসপাতাল ও ডায়ালাইসিস সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি এবং তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। সরকার স্বল্পমূল্যে ডায়ালেসিসের ব্যবস্থা করেছে।’
সূত্র: বাসস
-20241027115010.png)
-20241102183141.jpg)
