ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইল হাইকোর্ট

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩, ০১:৩২ এএম

ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইল হাইকোর্ট

রাজধানী ঢাকার বায়ু দূষণ চরম মাত্রা নিয়েছে। প্রায়শঃ ঢাকার বায়ু দূষণ বিশ্বে শীর্ষ স্থান দখল করে নিচ্ছে। বিষয়টি এই শহরের নাগরিকদের জন্য উদ্বেগের একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে। সেসব অনুসারে ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে এ পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্টদের এই তথ্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে আইনজীবী আমাতুল করিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা উপস্থিত ছিলেন।

আদেশের পর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন চেয়ে আমরা একটি আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত পরিবেশ অধিদফতর, সিটি করপোরেশনসহ সব পক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন। বায়ু দূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা আগামী রবিবারের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়তে পারেন: দূষণের নগরী থেকে হতাশার নগরী ঢাকা

বায়ু দূষণ রোধে উচ্চ আদালত ২০২০ সালে ৯ দফা যে নির্দেশনা দিয়ে রায় দিয়েছিল সেগুলো হল:

১. ঢাকা শহরের মধ্যে বালি বা মাটি বহনকারী ট্রাকগুলোকে ঢেকে পরিবহন করতে হবে।

২. যেসব জায়গায় নির্মাণকাজ চলছে সেসব জায়গার কনট্রাক্টররা তা ঢেকে রাখবে।

৩. এ ছাড়া ঢাকার সড়কগুলোতে পানি ছিটানোর যে নির্দেশ ছিল, সে অনুযায়ী যেসব জায়গায় এখনো পানি ছিটানো হচ্ছে না, সেসব এলাকায় পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৪. সড়কের মেগা প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ এবং কার্পেটিংয়ের যেসব কাজ চলছে, যেসব কাজ যেন আইন-কানুন এবং চুক্তির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন মেনে করা হয়, সেটা নিশ্চিত করার নির্দেশ।

৫. যেসব গাড়ি কালো ধোঁয়া ছাড়ে সেগুলো জব্দ করতে বলা হয়েছে।

৬. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করতে হবে এবং যেসব গাড়ি পুরাতন হয়ে গেছে সেগুলো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ।

৭. যেসব ইটভাটা লাইসেন্সবিহীনভাবে চলছে, সেগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনো বন্ধ করা হয়নি, সেগুলো বন্ধ করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ।

৮. পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইকিলিং বন্ধের নির্দেশ।

৯. মার্কেট ও দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে হবে। মার্কেট ও দোকান বন্ধের পরে সিটি করপোরেশনকে ওই বর্জ্য অপসারণ করতে হবে।

এই নয় দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের নির্দেশনা চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।

Link copied!