চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৮২ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।
সোমবার (৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
নুরজাহান বেগম জানান, গত বছর একই সময়ে (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯৪৩ জন মারা যান।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আমাদের সব জায়গায় হাসপাতালগুলোকে অ্যালার্ট (সতর্ক) করে দেয়া আছে যাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানো যায়। আমরা চেষ্টা করছি সকলকে সচেতন করতে। বিভিন্ন জায়গায় সবার সঙ্গে কথা বলছি যাতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশের হাসপাতালগুলোর ভেতর থেকে নানা অভিযোগ আছে। এর মধ্যে একটি হলো- একটি গোষ্ঠী বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কাজ করে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। ওষুধ বিক্রির অভিযোগ ছিল, সেগুলো যাতে না করে সে বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেলের ওপর চাপ কমাতে কুর্মিটোলা হাসপাতালের ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের আরও বেশি প্রশিক্ষণ দেয়া, নার্সদের আচারণগত প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা। এই কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীদের গত কয়েক মাস বেতন হচ্ছে না। তাদের বেতন দেয়ার জন্য যে প্রস্তাব ছিল সেটা পাস না হওয়ায় তারা তিন মাস বেতন পাচ্ছে না। আমি আগামী কেবিনেটে সেটা নিয়ে যাবো। যাতে তাদের বেতনের ব্যবস্থা করা যায়।
নুরজাহান বেগম বলেন, আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন করে ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও কোথাও তিনজন আবার কোথাও চারজন রয়েছেন। আবার চিকিৎসা দেয়ার জন্য পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই। এরকম নানা সমস্যা আছে। ধীরে ধীরে এসবের সমাধান করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের অনেক হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকায় নতুন করে আমি আর হাসপাতালের অনুমোদন দেবো না। পুরোনো যেগুলো আছে সেগুলোর সমস্যা আগে সমাধান করবো।