বিশ্বে আবারও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২২, ২০২৩, ১২:৫৫ এএম

বিশ্বে  আবারও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে করোনা

সংগৃহীত ছবি

শীতের আগমনী বার্তার সাথে সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাসের ধরন অমিক্রনের একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট (উপধরন)। বাংলাদেশে এখনো না দেখা গেলেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে পাওয়া গেছে এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট।

যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, করোনার এ নতুন উপধরন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তারা প্রচলিত ভ্যাকসিনের ওপরই আস্থা রাখছেন।

তবে ডব্লিউএইচও সতর্ক করে বলেছে, শীতে কোভিড ছাড়াও অন্যান্য রোগের সংক্রমণ বাড়তে পারে। এরই মধ্যে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের কাছাকাছি দেশগুলোতে ফ্লু ভাইরাস, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণকারী ভাইরাস (আরএসবি) ও শিশুদের নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেড়েছে।

কোভিডের যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালের শেষ দিকে। শীতের আগমনের সাথে সাথে কোভিডও ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। রূপ নেয় ভয়াবহ মহামারিতে। এর বিরুদ্ধে লড়াই চলছে এখনো। আবিষ্কার হয়েছে নানা ধরনের ভ্যাকসিন। অন্যদিকে বারবার ধরন পাল্টেছে করোনা। 

করোনার অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সফলতা পুরোপুরি আসেনি কারণ এই বেশি সক্রিয়। এ ধরন থেকেই জন্ম হয়েছে নতুন করে আতঙ্কের জন্ম দেয়া জেএন ডট ওয়ান ধরনটি। বর্তমানে এটি বেশি ছড়াচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসিপি) জানিয়েছে, জেএন ডট ওয়ান এখন যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। দেশটির মোট সংক্রমণের মধ্যে ১৫ থেকে ২৯ শতাংশ এ উপধরনের কারণে হয়েছে।

অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি জানিয়েছে বর্তমানে গবেষণাগারে মোট করোনা পরীক্ষার প্রায় সাত শতাংশই জেএন ডট ওয়ান ধরন। এটি ছাড়াও অন্য ধরনগুলোর বর্তমান অবস্থা তারা পর্যবেক্ষণ করছেন। 

ভারতের গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির গোয়া, মহারাষ্ট্র ও কেরালায় ২১ জন জেএন ডট ওয়ানে আক্রান্ত হয়েছেন। এ উপধরন ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, এর স্পাইক প্রোটিনের সংখ্যা অন্য ধরনগুলোর চেয়ে বেশি।

৪১টি দেশে ছড়িয়ে পড়লেও করোনার অমিক্রন ধরনের জেএন ডট ওয়ান উপধরন বাংলাদেশে এখনো শনাক্ত হয়নি। 

বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে গতকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আটজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার এক দশমিক ৩৫ শতাংশ। তবে চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও প্রতিবেশী ভারতে করোনার নতুন উপধরন শনাক্ত হওয়ায় সরকার সতর্ক অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হন। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৬ হাজার ১৮৮ জনে পৌঁছেছে। মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৭৭ জন। 

Link copied!