করোনা চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার বড়ি ‘মলনুপিরাভির’ অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ৯, ২০২১, ০৬:১২ পিএম

করোনা চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার বড়ি ‘মলনুপিরাভির’ অনুমোদন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নতুন চিকিৎসা হিসেবে মুখে খাওয়ার নতুন ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেট জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। সোমবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আইয়ুব হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের দুই কোম্পানি মার্ক শার্প অ্যান্ড ডোম (এমএসডি) ও রিজেবাক বায়োথেরাপিউটিক যৌথভাবে তৈরি করেছে মলনুপিরাভির নামে মুখে খাওয়ার এই ওষুধ।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আইয়ুব হোসেন বলেন,দেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মলনুপিরাভিরের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিল। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর প্রাথমিকভাবে তাদের জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। খুব শিগগিরই তাদের ‘রেসিপি’ অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।

আইয়ুব হোসেন আরও বলেন, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ বেশ কয়েকটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান দেশে মলনুপিরাভির উৎপাদন ও বিপণনের অনুমতির জন্য আবেদন করেছে।

মার্কিন ওষুধ কোম্পানি মার্ক, শার্প অ্যান্ড ডোহম (এমএসডি) এবং রিজব্যাক বায়োথেরাপটিকসের মলনুপিরাভির করোনা চিকিৎসায় প্রথম অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেট, যা ইনজেকশনের মাধ্যমে পুশ না করে ওষুধ হিসেবে খাওয়া যাবে।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সরকার করোনা চিকিৎসায় এই মলনুপিরাভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এরপরই মূলত দেশে এই ওষুধটির উৎপাদন ও ব্যবহারের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হলো।

‘মলনুপিরাভির’ অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেটকে করোনাভাইরাস চিকিৎসায় ‘গেমচ্যাঞ্জার’ আখ্যা দিয়ে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ  এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় বাড়িতে বসেই সেবন করা যায়— এমন একটি অ্যান্টিভাইরাল আমরাই প্রথম অনুমোদন দিয়েছি।

চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সির (এমএইচআরএ) এই ওষুধটি দেয়। সর্দি-জ্বরের চিকিৎসার জন্য তৈরি করা ‘মলনুপিরাভির’বড়ি করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবায় পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করে আশানুরূপ ফল পাওয়া গেছে। এই বড়ি সেবনে হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর ঝুঁকি অর্ধেক কমেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Link copied!