করোনা থেকে সেরে ওঠার এক বছর পরও থাকছে নানা উপসর্গ। অল্পতেই ক্লান্তিভাব, মনে না থাকা, প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, মাথাসহ নানা সমস্যা বিষিয়ে তুলছে স্বাভাবিক জীবন। গবেষণা বলছে, প্রথম উপসর্গ দেখা দেওয়ার ছয় মাস পর ৭০ শতাংশ আর এক বছর পর ৪৫ শতাংশ রোগী নানা জটিলতায় ভুগছেন। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিকে হালকাভাবে না নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের গবেষণা বলছে, প্রথম উপসর্গ দেখা দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে ৭৮ শতাংশ, ছয় মাস পর ৭০ শতাংশ, নয় মাস পর ৬৮ শতাংশ আর এক বছর পর ৪৫ শতাংশ রোগীর মধ্যে কোভিড পরবর্তী উপসর্গ থাকতে দেখা গেছে।
বিশষজ্ঞরা বলছেন, করোনা চলে গেলেও দীর্ঘদিন রয়ে যাবে এর প্রভাব।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ান উর-রহমানের মতে, আগে ৮-১০ ঘণ্টা কাজ করলেও কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু এখন দু’ঘণ্টাও কাজ করতে পারে না। আবার শারীরিক অন্য কোনো সমস্যাও দেখা যাচ্ছে না।
তার মতে, এমন কিছু সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। কিন্তু চিন্তা না করে সুস্থ হবে এটাই ধরে নিতে হবে। আস্তে আস্তে কর্মক্ষমতা বাড়াতে হবে, তবেই সুস্থতার দিকে যাবে রোগী।
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহও একই কথা জানালেন। বলেন, “করোনা চলে গেছে মনে করলেও সেটি চলে যায়নি। করোনা পিছু ছাড়তে সময় লাগবে।” তাই সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বললেন ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেন, “করোনা পরবর্তী যাদের ডায়াবেটিস ছিল না, তাদের ডায়াবেটিস হচ্ছে। যাদের উচ্চরক্তচাপ ছিল না, তাদের রক্তচাপ বাড়ছে। হৃদরোগের সমস্যা ছিল না, কিন্তু বর্তমানে হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে দেশে করোনা থেকে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন প্রায় সাড়ে ১৬ লাখের মত মানুষ।