দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ২৮, ২০২১, ০৪:০৬ পিএম

দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় সারাদেশে মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ভাইরাস প্রতিরোধী টিকার তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ।

দেশে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেশের চিকিৎসক, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বয়স্কদের দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজ। যাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে তারা সবাই আগেই এসএমএস পাচ্ছেন। আগের দুই ডোজ যে কেন্দ্র থেকে দেওয়া হয়েছে, ওই কেন্দ্র থেকেই বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। এর জন্য নতুন করে নিবন্ধন করার প্রয়োজন নেই।  

এর আগে, সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া  মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।

টিকার সংকট নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনার টিকার কোনো অভাব হবে না। ইতিমধ্যে আমরা ৩১ থেকে ৩২ কোটি টিকার জোগান নিশ্চিত করেছি। ইতিমধ্যে ১৫ কোটি টিকা বাংলাদেশে এসেছে। ১১ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।’

এদিকে,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহামেদুল কবীর জানিয়েছেন,  যারা করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার দুই ডোজ নেওয়ার মেয়াদ ৬ মাস পার করেছেন  তারা পর্যায়ক্রমে তাদের মোবাইল নম্বরে এসএমএস পাবেন। এ ছাড়া, যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং যারা ফ্রন্টলাইনার তাদের কাছে এসএমএস যাবে। এসএমএস পাওয়া ব্যক্তিরা করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দিতে পারবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত ১৯ ডিসেম্বর দেশে পরীক্ষামূলকভাবে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা ডি কস্টাকে দিয়েই শুরু হয় বুস্টার ডোজ কার্যক্রম। সেদিন আরও বুস্টার ডোজ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। বুস্টার ডোজ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতর ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্নার টিকা বেছে নিয়েছে।

Link copied!