জুলাই ২৬, ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
অলিম্পিক শুরুর আগমুহূর্তেই ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে দ্রুতগতির রেল নেটওয়ার্কে (টিজিভি) অগ্নি সংযোগসহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনটি অঞ্চলের রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় ট্রেন পরিচালনাকারী সংস্থা এসএনসিএফ। কর্তৃপক্ষ বলেছে, রাতে একযোগে রেল নেটওয়ার্কে একাধিকবার হামলা চালানো হয়। এতে আটলান্টিক, উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের লাইনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানায় তারা।
ভয়াবহ এই হামলার কারণে শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ব্যাপক শিডিউল বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশটির রেল বিভাগ।
আন্তর্জাতিক পরিসরে অন্যতম বড় স্পোর্টস ইভেন্ট অলিম্পিক ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সত্ত্বেও এমন ঘটনা ঘটল। যেখানে আগে থেকেই পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী থেকে ১০ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রেলওয়ে অপারেটর এসএনসিএফ বলছে, ভয়াবহ এই হামলার ঘটনায় উত্তরে লিলি, পশ্চিমে বোর্দো ও পূর্বে স্ট্রাসবার্গের মতো শহরগুলোর সঙ্গে প্যারিসকে সংযোগকারী লাইনের সংকেত বক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে প্যারিস-মার্সেই লাইনে আরেকটি হামলার চেষ্টা বানচালের তথ্য নিশ্চিত করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
সূত্র জানায়, এসএনসিএফের পক্ষ থেকে যাত্রীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যাত্রা স্থগিতের আহ্বান জানানো হয়। সিরিজ হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর পরই কর্তৃপক্ষ মেরামত কাজ শুরু করেছে।
রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, হামলার প্রভাবে ট্রেন চলাচল ১ সপ্তাহের জন্য বাধাগ্রস্ত হবে। অন্য জায়গা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলোকেও ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত হামলার দায়ভার নিয়ে আনুষ্ঠানিক কারও বিবৃতি পাওয়া যায়নি। এমনকি এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পৃক্ততা আছে কিনা সেটাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গ্যারে ডু নর্ডেতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্যারিসের পরিবহন মন্ত্রী প্যাট্রিস ভারগ্রিয়েট বলেন, “যা কিছু ঘটেছে তার প্রেক্ষিতে একে সন্ত্রাসী হামলা বলা ছাড়া উপায় নেই।”
এসএনসিএফ জানায়, আটলান্টিক, নর্দার্ন ও ইস্টার্ন হাই-স্পিড লাইনের সিগন্যালিং স্থাপনা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।
এসএনসিএফের প্রধান জিন-পিয়েরে ফারান্ডু বলেন, “অলিম্পিক আসরকে ঘিরে ছুটি শুরুর এক সপ্তাহ আগে হামলার ঘটনায় প্রায় ৮ লাখের বেশি গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হলো। ক্ষতিগ্রস্ত নেটওয়ার্ক মেরামত ও রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য কয়েক হাজার রেলকর্মী কাজ শুরু করেছে।”
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান