প্রায় তিন সপ্তাহ আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে প্রথম প্রাণহানি ঘটেছে যুক্তরাজ্যে।সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই ভ্যারিয়েন্টে দেশটিতে প্রথম একজন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইউকে নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম লন্ডনের প্যাডিংটনের কাছে একটি টিকাদান ক্লিনিক পরিদর্শনে গিয়ে বরিস জনসন বলেছেন, “দুঃখজনকভাবে ওমিক্রন লোকজনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য করছে। দেশে ওমিক্রনে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।”
সোমবার সকালের দিকে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, ইংল্যান্ডে প্রায় ১০ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি এবং তারপর দুঃখজনকভাবে মৃত্যুর মধ্যে সর্বদা একটি ব্যবধান থাকে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালের দিকে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেন, “ইংল্যান্ডে প্রায় ১০ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সংক্রমণ, হাসপাতালে ভর্তি এবং তারপর দুঃখজনকভাবে মৃত্যুর মধ্যে সর্বদা একটি ব্যবধান থাকে।”
এর আগে, রবিবার (১২ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশটিতে করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজের কর্মসূচি ত্বরান্বিত করার ঘোষণা দেন। দেশটির প্রাপ্তবয়স্ক সব নাগরিকের জন্য ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ উন্মুক্ত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে আগামী পাঁচ মাসে যুক্তরাএজ্য সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার জনের প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা। সচেতন হয়ে এখনই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা না হলে আগামী এপ্রিল নাগাদ দেশটিতে বিপুল সংখ্যক এই প্রাণহানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির বিজ্ঞানীরা জানান, প্রাণহানি রোধে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও বিধিনিষেধ আরোপের প্রয়োজন হতে পারে।আসছে জানুয়ারিতেই ওমিক্রন যুক্তরাজ্যে বড় আঘাত হানতে পারে সতর্কবার্তা দিয়েছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা।