রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভাড়াটে ভাগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন বা সশস্ত্র বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন না বলে জানিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে চলমান ফৌজদারি তদন্ত বন্ধ করেছে রাশিয়া।
গত সপ্তাহে ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের নেতৃত্বাধীন ভাড়াটে ভাগনার বাহিনী পুতিন সরকারের বিরুদ্ধে হুংকার দিয়ে মস্কোর দিকে যাত্রা শুরু করেছিল। তারা দুটি শহরও দখল করে নিয়েছিল। রাশিয়াবাসীকে ভয়ংকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছিল এই হুমকি।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে পুতিন বলেন, ‘অভ্যুত্থানের নেপথ্যে থাকা বিদ্রোহীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।’
ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) বলেছে, ইয়েভগেনি এবং ভাগনার সৈন্যদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ভাগনার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা করা হবে না।
বিদ্রোহের সময় ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভুল করলেন। শিগগিরই রাশিয়া নতুন প্রেসিডেন্ট পেতে চলেছে।’
অবশেষে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেকসান্ডর লুকেশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ স্থগিত করেন ভাগনার প্রধান।
উল্লেখ্য, ভাগনার সেনাক্যাম্পের ওপর মিসাইল হামলা চালিয়ে সৈনিকদের হত্যা করেছে রুশ সেনা- ভাগনার গোষ্ঠীর প্রধান এমন অভিযোগ করে বিদ্রোহ শুরু করেন। যদিও মিসাইল হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে রুশ সেনারা।