মোদিকে হটাতে পোস্টারময় দিল্লি; গ্রেপ্তার-এফআইআর চলছেই

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২২, ২০২৩, ০৪:০২ পিএম

মোদিকে হটাতে পোস্টারময় দিল্লি; গ্রেপ্তার-এফআইআর চলছেই

দিল্লির দেয়ালগুলো ছেয়ে গেছে ‘মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও’ পোস্টারে। পোস্টার সরানোর পাশাপাশি চলছে গ্রেপ্তার ও এফআইআর দাখিল। এদিকে এই পোস্টার হাঙ্গামার জন্য অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছে দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টির (আপ) দিকে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেল থেকে এই পোস্টার হাঙ্গামা শুরু হয়। দিল্লি পুলিশ শতাধিক এফআইআর দাখিলের পাশাপাশি ধরপাকড়ও চালু রেখেছে।

এদিকে আপ-এর টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্টে লেখা হয়, ‘মোদি সরকারের স্বৈরতন্ত্র চরমে পৌঁছেছে।’ 

লালের ওপর সাদা দিয়ে লেখা ওই পোস্টারের প্রতিলিপি দিয়ে টুইটে আপ প্রশ্ন তোলে, ‘এই পোস্টারে আপত্তিকর কী এমন আছে যে মোদিজিকে ১০০টি এফআইআর করতে হয়? প্রধানমন্ত্রী মোদি, সম্ভবত আপনার জানা নেই, ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এক পোস্টারকে এত ভয়?’

এদিকে দিল্লি পুলিশ দাবি করেছে গতকাল আপ অফিসের কাছ থেকে ২ হাজার পোস্টারসহ একটি ডেলিভারি ভ্যান আটক করা হয়েছে। পোস্টারগুলো আপ অফিসে দিয়ে আসতে বলা হয়েছিল বলে নাকি ভ্যানচালক দাবি করেছেন। এর আগে সোমবারেও তিনি আপ অফিসে পোস্টার দিয়ে এসেছেন বলে ভ্যানচালক জানিয়েছে দাবি পুলিশের।

যে দুই ছাপাখানায় ওই পোস্টার ছাপা হয়েছিল, তাদের মালিকদের আটক করা হয়েছে বলে দিল্লি পুলিশ দাবি করেছে। তারা জানায়, ওই ছাপাখানার মালিকদের নাকি ৫০ হাজার ‘মোদি হটাও, দেশ বাঁচাও’ পোস্টার ছাপানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

শতাধিক এফআইআর প্রসঙ্গে দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার দীপেন্দ্র পাঠক বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানান, প্রিন্টিং প্রেস এবং সম্পত্তির ক্ষতিসাধন বিরোধী দুই আইন ও শহরের সৌন্দর্যহানির অভিযোগে একাধিক মামলায় এফআইআর দাখিল করা হয়েছে।

তিনটি ‘অপরাধ’ দেখিয়ে দিল্লি পুলিশ এফআইআর দাখিল করেছে– যেখানে-সেখানে পোস্টার সেঁটে শহরের সৌন্দর্য নষ্টের অভিযোগে, ছাপা পোস্টারে প্রিন্টিং প্রেস ও কারা ছাপাচ্ছে, তার উল্লেখ না থাকা এবং  প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করা।

এই তিন কারণ দেখিয়ে পোস্টারগুলো সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে আপকে ব্যঙ্গ করে দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র হরিশ খুরানা বলেছেন, আপ ওই পোস্টার মেরেছে সেটা স্বীকারেরও সাহস পর্যন্ত নেই তাদের। পোস্টার সেঁটে তারা আইন ভেঙেছে।

অন্যদিকে আপ নেতৃত্ব বলেছেন, পোস্টারের দাবি গণতান্ত্রিক। পুলিশের ‘অগণতান্ত্রিক’ আচরণের প্রতিবাদে ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অপসারণের দাবিতে তাঁরা আন্দোলনে শামিল হবেন।

Link copied!