বেটা
সংগৃহীত ছবি
তিন দিনব্যাপী অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন সকালে নারায়ণগঞ্জ হয়ে উঠেছে রণক্ষেত্র। আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। দুটি বাসও ভাঙচুর করা হয়।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যেই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর উপস্থিতিতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত অবরোধ সমর্থনে মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম রফিক, সহ অর্থনৈতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দল সভাপতি মন্টু মেম্বার, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন সালু, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান জিকুসহ আরও অনেকে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পাঁচরুখী এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ ও মিছিল করে।
এ সময় বিএনপির সন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ এগিয়ে গেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় ত্রিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। একটি বিআরটিসি বাসসহ দুটি বাস ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা। আধা ঘণ্টা ধরে চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ। আহত হন এক পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন। মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে এবং টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৮টা থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ব্যারিকেড দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা অবরোধ করছেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। সড়কে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পুলিশ।
