বাংলাদেশে সারাবছর পাওয়া যায় এমন সব্জিগুলোর মধ্যে মোচা হলো কলা জাতীয় সব্জি। গাছে থাকা কলার কাঁদির একেবারে শেষের দিকে থাকা না ফোটা ফুলে কুঁড়ির নাম হলো ‘মোচা’। এটি বাইরে থেকে পরপর খোলার দ্বারা ঢাকা থাকে। সারাবছর বাজারে পাওয়া এই কলার মোচায় পুষ্টি উপাদান বেশি।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম মোচায় রয়েছে: প্রোটিন ১.৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩২ মিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ৫.১ গ্রাম, ফসফরাস ৪২ মিগ্রাম, ভিটামিন ‘এ’ ২৭ আই.ইউ, লৌহ ১.৬ মিগ্রাম, ফ্যাট ০.৭ গ্রাম, পটাশিয়াম ১৮৫ মিগ্রাম, রিবোফ্লেবিন .০২মিগ্রাম, ভিটামিন ‘সি’ ৪২০ মিগ্রাম, আঁশ ১.৩ গ্রাম, থায়ামিন .০৫ মিগ্রাম।
স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে যারা নিয়মিত মোচা খান তাদের মন ভাল থাকে।মন ভাল রাখার হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায় এই সব্জি খেলে।মোচা খেলে আরও নানা ধরণের উপকার পাওয়া যায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের লাইফস্টাইল বিষয়ক প্রতিবেদনে মোচার বিভিন্ন উপকারীতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
মোচা কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন সমৃদ্ধ। এ কারণে দেহ গঠনের কাজে এই সব্জি সাহায্য করে। মোচায় লৌহ থাকায় এটি খেলে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা দূর করতে দারুণ সহায়তা করে। ১০০ গ্রাম মোচার মধ্যে রয়েছে ০.৭ গ্রাম আঁশ। তাই মোচা সহজে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মোচায় ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকায় এটি শিশুদের দাঁত ও হাঁড়ের লম্বাটে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে মোচায়। যার কারণে মোচা খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে।
মোচ খেলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা কমে যায়। নিয়মিত মোচা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যাঁরা মোচা খান, তাঁরা ডায়াবিটিসের সমস্যায় কম ভোগেন। জীবনযাপনের নানা সমস্যার কারণে অনেকেই পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমের সমস্যায় ভোগেন। তবে মোচা খেলে এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।
এছাড়া, মোচার কিছু উপাদান ক্যানসার প্রতিহত করতে সাহায্য করে। ফেনোলিক অ্যাসিড, ট্যানিনের মতো কিছু উপাদান রয়েছে মোচায়। এগুলিই ক্যানসার প্রতিহত করে। পাশাপাশি হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমায়।