নভেম্বর ১৬, ২০২১, ১১:৫৯ এএম
পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ার শাস্তি হিসেবে হামিদা খাতুন (৩২) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, হত্যার পর তার দেহ থেকে এক হাত ও এক পা বিচ্ছিন্ন করেছে ওই ঘাতক।
স্বামীর অমানবিক নির্যাতনে নিহত হামিদা খাতুন সদর উপজেলার ফলিয়া গ্রামের তেজেম মোল্লার স্ত্রী। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) ভোররাতে পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সকাল ৯টার দিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে,নিহতের ভাই হামিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, তেজেম মোল্লা স্থানীয় এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। তেজেম মোল্লা তার স্ত্রী হামিদা খাতুনকে প্রায়ই মারধর করতেন। এরই জেরে মঙ্গলবার ভোররাতে হামিদা খাতুনকে কুপিয়ে হত্যা করে তার স্বামী। হত্যার পর তার এক হাত ও এক পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে। পরে ফোন দিয়ে সে আমার বোনকে হত্যার বিষয়টি জানিয়ে পালিয়ে যায়। পরে আমরা বাড়িতে পুলিশকে খবর দেই।