এপ্রিল ১, ২০২৩, ১০:৩০ এএম
স্বামী-স্ত্রী দু’জনেরই বয়স ২০ এর কাছাকাছি। প্রেমের সূত্র ধরেই তাদের বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পর ওই ভালবাসা আর স্থায়িত্ব হয়নি। প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগেই লাগতো। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে মেরে ফেলেন স্বামী। স্বামীর এতটাই ক্রোধ ছিল যে তিনি হত্যার পর স্ত্রীর দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেন। একাজ করার সময় হার্ট অ্যাটাক হয় স্বামীর। এর ফলে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
মিশরের রাজধানী কায়রোর একটি অ্যাপার্টমেন্টে এই নির্মম ঘটনা ঘটে। সৌদি আরবের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম আল আরাবিয়া নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
কায়রো পুলিশের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথমে স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন স্বামী। এর পর লাশ গুমের উদ্দেশ্যে টুকরো টুকরো করছিলেন তিনি। ঠিক ওই সময়ই তার হার্টঅ্যাটাক হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ওই দম্পতির দু’জনেরই বয়স ছিল ২০ বছরের কাছাকাছি।
রাজধানী কায়রোর আল-মার্জ বিভাগের গভর্নরের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয,মৃত্যুর অন্তত চার দিন পর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এবিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তে উঠে এসেছে, ওই ব্যক্তির সঙ্গে নারীর আগে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে তাদের বিয়ে হয়েছিল কিনা-সেব্যাপারে তারা নিশ্চিত নয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মরদেহ পাওয়া অ্যাপার্টমেন্টের এক প্রতিবেশী জানায়, ওই নারী-পুরুষ বিবাহিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন আগে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জেরে স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তবে কখন আবার ফিরে আসেন তা কেউ জানে না। হত্যাকাণ্ড ঘটার সময় কেউ টেরও পাননি। পঁচে দুর্গন্ধ বের হলে প্রতিবেশিরা খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
কায়রো পুলিশ জানায়, অ্যাপার্টমেন্টে গিয়ে তারা নারীর মরদেহের টুকরো টুকরো অংশ একটি ঝুড়িতে এবং ওই ঝুড়ির পাশে স্বামীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
A