নভেম্বর মাস মানেই হলো ‘নো শেভ নভেম্বর’ অর্থাৎ ছেলেরা তাদের দাঁড়ি এবং গোঁফ শেভ করা ছেড়ে দিতে হবে এবং সেইসঙ্গে এগুলো সুন্দরমতো গজিয়ে সবাইকে দেখাতে হবে। ‘নো শেভ নভেম্বর’-এর উদ্দেশ্য হল, দাড়ি কামানো খরচ বাঁচিয়ে তা ক্যানসারের চিকিৎসায় দান করা। জিনিসটা বর্তমানে অনেকটা ট্রেন্ডের মতো হয়ে গেছে।
বাংলার গ্রামীণ প্রকৃতিতে শীতের আমেজ রয়েছে। এমন আবহে দাড়ি কামাতে চান না অনেকে। দাড়ি না কামিয়ে কতজন ক্যানসার রোগীর পাশে দাঁড়ান, এর হিসেবে আমাদের কাছে নেই। কিন্তু আমরা আপনাকে বলতে পারি যে, আপনি দাড়ি না কামিয়ে ত্বকের কতটা উপকার করছেন!
দাড়ি আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। এই কারণে সহজে ত্বকের উপর সহজে বলিরেখা পড়ে না। পাশাপাশি রুক্ষ ত্বকের সমস্যা সহজেই এড়ানো যায়। দাড়ি আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মির হাত থেকে ৯৫ শতাংশ রক্ষা করে।
দাড়ি আপনার ত্বককের উপর একটি আস্তরণ তৈরি করে। এর ফলে আপনার মুখে ওপের পোরসের সমস্যা দেখা দেয় না। রোমকূপে ময়লা জমার সমস্যাও কমে যায়। আরেকটি ভালো জিনিস হোক, এতে আপনার ত্বক শুষ্কভাব দেখা যায় না। শীতের আমেজে ত্বক সবার আগে আর্দ্রতা হারাতে থাকে। কিন্তু দাড়ি থাকলে সহজেই এই সমস্যা এড়ানো যায়। তাছাড়া দাড়ি শীতে আপনার ত্বককে উষ্ণ রাখে।
দাড়ি কামালে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের দাড়ি কামালে অনেকের ত্বকে র্যাশের সমস্যা দেখা দেয়। পাশাপাশি ইনগ্রো হেয়ারের সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া দাগছোপের সমস্যাও লক্ষ্য করা যায়। তাই ত্বককে ভালো রাখতে এবং ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পালন করুন ‘নো শেভ নভেম্বর’।