গোয়ায় মধুচন্দ্রিমা না হওয়ায় বিবাহবিচ্ছেদ!

ফারজানা আক্তার

জানুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম

গোয়ায় মধুচন্দ্রিমা না হওয়ায় বিবাহবিচ্ছেদ!

সংগৃহীত ছবি

বিয়ের পর দম্পতির জন্য মধুচন্দ্রিমা একটি স্মরণীয় অধ্যায়। অথচ এই মধুচন্দ্রিমাকে ঘিরেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন ভারতের এক দম্পতি।

নানা বিতর্ক উপেক্ষা করে অযোধ্যা শহরে ৩২ বছর আগে হিন্দু জনতাদের ধ্বংস করে দেওয়া বাবরি মসজিদের জায়গায় হিন্দু দেবতা রামের নামে নির্মাণ করা হয়েছে রাম মন্দির। আর এই মন্দিরকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে এক দম্পতির সংসার ভাঙ্গনের কারণ।

স্ত্রীকে গোয়ার ‘স্বপ্ন’ দেখিয়ে সেখানে না নিয়ে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা এবং বারাণসীতে নিয়ে যান এক ব্যাক্তি। সেই কারণে বিয়ের মাত্র পাঁচ মাস পরে তাঁর স্বামীর কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছেন এই মহিলা। ভোপালের একটি পরিবার আদালতে বিচ্ছেদ চেয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনে ওই মহিলা বলেছেন যে তাঁর স্বামী আইটি সেক্টরে কাজ করেন এবং ভালো বেতন পান। তিনিও চাকরি করেন এবং ভালো উপার্জন করেন। তাই হানিমুনের জন্য বিদেশে যাওয়া তাঁদের পক্ষে কঠিন ছিল না।

মহিলার স্বামী মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন যেহেতু তাঁর বৃদ্ধ মা-বাবা রয়েছেন, তাই তিনি বিদেশে ঘুরতে যেতে চাইছিলেন না। তার সিদ্ধান্তে তার স্ত্রী রাজিও হয়েছিলেন। তবে মহিলার অভিযোগ যে, ঠিক হয়েছিল দক্ষিণ ভারতের কোনও জায়গা কিংবা গোয়ায় যাওয়া হবে। কিন্তু স্বামী তাঁকে না জানিয়েই অযোধ্যা এবং বারাণসীর জন্য বিমানের টিকিট বুক করেন।

মহিলা তাঁর পিটিশনে আরও জানান যে, ঘুরতে যাওয়ার আগের দিন তাঁকে জানানো হয়, গোয়া নয়, তাঁরা যাচ্ছেন অযোধ্যা। কারণ শাশুড়ি অযোধ্যা যেতে চেয়েছেন। রামমন্দির উদ্বোধন হওয়ার আগে তাই তাঁকে ঘুরিয়ে আনার জন্য ‘ডেস্টিনেশন’ বদল করা হয়। অযোধ্যায় ঘুরেও আসেন তাঁরা সকলে। ১০ দিন পর ফিরে আদালতে যান মহিলা। বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন। ভোপালের স্থানীয় পারিবারিক আদালতে দম্পতির কাউন্সেলিংয়ের দায়িত্বে রয়েছেন অ্যাডভোকেট শৈল অবস্থি।

বিচ্ছেদ বা ডিভোর্সের এরকম অলৌকিক কাহিনী আমরা দেখে থাকি বা শুনে থাকি। সামান্যতম কারণেও স্বামী স্ত্রীকে বা স্ত্রী স্বামীকে ছেড়ে দিচ্ছে বা ছেড়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করে থাকে। মানুষের মন কখন কী করতে চায় তা বলা দুষ্কর! 

এই যুগে অহরহ বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে এবং তা শুধু এই জন্যই ঘটছে না কারণ একজন আরেকজনকে আর ভালোবাসে না বা দাম্পত্যকলহ রয়েছে। ঘটছে নানান ধরনের অহেতুক বা অর্থহীন কারণে। এমন মনে হয় যেন মানুষ নিজেই যেচে সমস্যা তৈরি করে এবং সেই সমস্যাকে বড় করে দেখতে দেখতে তিলকে বানায় তাল।

এমন এমন কারণে মানুষ বিবাহবিচ্ছেদ চায় যেমন স্বামী ঝগড়া কেন করছে না, অথবা স্ত্রী কেন স্বামীর কথা মতো পোশাক পরিধান করছে না। অথবা স্ত্রীর মুখে ওঠা ব্রনও হয় বিবাহবিচ্ছেদের কারণ। এইসব উদ্ভট কারণ কেনই বা হয় বিবাহবিচ্ছেদের কারণ নাকি এগুলো শুধুই ছেড়ে যাওয়ার ছুতা মাত্র সেটাই চিন্তার বিষয়!

 

Link copied!