কিশোরী পরিণত হলো কিশোরে!

দ্যা রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ১০, ২০২১, ০৭:২৬ এএম

কিশোরী পরিণত হলো কিশোরে!

ফরাসি সাহিত্যিক ফ্রাঞ্জ কাফকার মেটামরফোসিস বা রুপান্তর গল্পটির অনেকের জানা আছে। যেখানে এক ভদ্রলোক একদিন সকালে ওঠে দেখেন যে, তিনি বড়সড় আকারের পতঙ্গে পরিণত হয়েছেন। গল্পের খাতিরে নাহয় মানুষের পতঙ্গে রূপান্তর মানা যায়। কিন্তু ১৫ বছরের এক কিশোরী যদি ঘুম থেকে ওঠে দেখে তার শারীরিক পরিবর্তন ঘটে গেছে, তাহলে তার কেমনটা মনে হবে? কিংবা আপনাদেরেই বা কেমন মনে হবে? কল্পনায় নয় এমন ঘটনা বাস্তবেই ঘটেছে। তাও আবার আমাদেরই দেশে।

টাঙ্গাইলের গোপালপুরের মির্জাপুর ইউনিয়নের নঠুরচর পশ্চিম পাড়া গ্রামের লাবনী আক্তার, বয়স ১৫। এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা তার। মেয়ে থেকে হঠাৎ ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে সে। শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

গত কয়েক মাস ধরেই থেকেই তার শারীরিক পরিবর্তন হচ্ছিল। তবে শুক্রবার (৮ অক্টোবর) তার এমন চাঞ্চল্যকর পরিবর্তন জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তাকে একনজর দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসছে। বাড়ির সামনে এখন গিজগিজ করছে মানুষ।

লাবনীর প্রতিবেশীরা জানান, বেশ কয়েকদিন আগেই লাবনীর পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। 

লাবনী আক্তারের বাবা লাভলুর বলেন, তার মেয়ের পরিবর্তনের বিষয়টি গত বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) তিনি তার স্ত্রী পারভীন আক্তারের কাছ থেকে জানতে পারেন। তিনি আরো বলেন, ‘লাবনী তার মাকে প্রথম বিষয়টি জানায়। এখন তার শারীরিক গঠন পুরুষের মতো হয়ে গেছে। এছাড়া চেহারাতেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে’। 

লাবনী আক্তার জানায়, চার-পাঁচ মাস আগেই এমন কিছু ঘটছে বলে টের পাচ্ছিল সে। কিন্তু লোক-লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। 

লাবনীর মা জানান, ছয় মাস আগে লাবনী আক্তারের বিয়ে ঠিক করা হয় একই উপজেলার মাকুল্লা গ্রামে। তখন লাবনী বিয়েতে অসম্মতি জানায়। তার রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনাটি বললে তিনি প্রথমে বিশ্বাস করেননি। পরে দেখে শুনে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছেন। 

তিনি বলেন, আল্লাহ তাকে মেয়ে থেকে ছেলে বানিয়ে দিয়েছে। আগে তাদের দুই মেয়ে ছিল। এখন এক ছেলে ও এক মেয়ে হওয়ায় তাঁরা খুশি। 

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে চাইলে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলিম আল রাজী বলেন, আমাদের দেশে মাঝে মধ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। এটা সাধারণত হরমোন পরিবর্তনের কারণে ঘটে।

ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ার লাবনীর নাম রাখা হয়েছে আবদুল্লাহ জিসান। বাবা লাভলুই এ নাম পছন্দ করে রেখেছেন। 

Link copied!