কৈলাসে ধর্নায় বসে এক নারীর দাবি, তিনিই পার্বতী, বিয়ে করবেন শিবকে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ৩১, ২০২২, ০৫:৫৫ পিএম

কৈলাসে ধর্নায় বসে এক নারীর দাবি, তিনিই পার্বতী, বিয়ে করবেন শিবকে

শ্রাবণ মাসে বহু পূণ্যার্থী ভোলেনাথের দর্শন পেতে গমন করেন কৈলাস, হরিদ্বার কিংবা ঋষিকেশের উদ্দেশ্যে। অনেকে আবার যোগ দেন কানওয়ার যাত্রায়। পুরো ভারতবর্ষে জুড়ে বেশিরভাগ শিব মন্দিরে এই মাসের প্রত্যেকটি সোমবার দেখা যায় ভক্তদের ঢল। দেবাদিদেবের ভক্তরা সারা বছর অপেক্ষা করেন, শ্রাবণ মাসের জন্য। কারণ এই মাসকে বলা হয় শিবের মাস।

আনন্দবাজার ও প্রথেম কলকাতাসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ভক্ত নিজেদের মনস্কামনার কথা ভগবানের উদ্দেশ্যে জানান যাতে তা পূরণ হয়। তবে এবার এক মহিলা ভগবানের কাছে অদ্ভুত দাবি করলেন। তিনি সরাসরি চাইলেন শিবকে বিয়ে করতে। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি, বিয়ের দাবিতে কৈলাসে ধর্নায় বসলেন। তিনি শিবকে বিয়ে করতে একেবারেই নাছোড়বান্দা।

বর্তমানে ধর্না শব্দটি বিয়ের সঙ্গে রীতিমত ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। কারণ মিডিয়ার কারণে জানা যায় প্রায়ই বিয়ের দাবিতে অনেকেই প্রেমিক-প্রেমিকাদের বাড়ির সামনে দিনের পর দিন ধর্নায় বসেছেন। তবে সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীদের দেবাদিদেব শিবকে বিয়ে করতে ধর্নায় বসার ঘটনা এই প্রথম ঘটেছে।

দেবাদিদেব শিবকে বিয়ে করতে হরমিন্দ কৌর নামে লখনউয়ের এক নারী ভারত-চীন সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে ধারচুলায় পাহাড়ের চূড়ায়  অবস্থান করছেন।

হরমিন্দের দাবি অনুযায়ী, তিনি নাকি পার্বতী। তিনি নিজেকে উমার অংশ বলে মনে করেন। সেই দাবি নিয়ে বিয়ে করতে চাইছেন দেবাদিদেবকে। এই উদ্দেশ্যেই তিনি এখানে এসেছেন। ১৫ দিনের অনুমতি নিয়ে এই স্থানে আসলেও সেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তিনি সেই জায়গা ছাড়ছেন না। সঙ্গে তার মাও রয়েছেন। এই মেয়ের একটাই দাবি, তিনি শিবকে বিয়ে না করে সেই জায়গা থেকে বিন্দুমাত্র সরবেন না।

স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয়টি নিয়ে এখন ব্যাপক চঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনেকেই তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করলে কোন ফল হয়নি। স্থানীয় পুলিশ এই মা মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে গেলে তারা রীতিমত আত্মহত্যার হুমকি দেয়। যার জেরে তাদেরকে কেউ জোর করতে পারছেন না। অনেকেই ভাবছেন তারা মানসিকভাবে অসুস্থ, তাই এভাবে ধর্নায় বসেছেন।

Link copied!