সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ফুলের ছবি ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে উত্তাল গোটা নেট দুনিয়া। কারণ কী? কারণ হচ্ছে সেই ফুল দেখতে অনেকটা পুরুষদের গোপন অঙ্গের মতো।
ফুলটির বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Amorphophallus decus-silvae। তবে এটি এখন ‘‘পুরুষাঙ্গ উদ্ভিদ’ বা পেনিস প্লান্ট নামে বহুল পরিচিতি পেয়েছে। এই ফুল নিয়েই কম্বোডিয়া দেশে শুরু হয়েছে হইচই কাণ্ড। কারণ মহিলারা সেই ফুল তুলে নিচ্ছেন।
ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন: https://www.youtube.com/watch?v=SC5EVLvyW7k&t=4s
সাধারণত এই ধরনের ফুল দেখতে পাওয়া যায় কম্বোডিয়া দেশে। ওয়েস্টার্ন কম্বোডিয়ার পার্বত্য অঞ্চলে এই ধরনের ফুল দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু, এই ফুল নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে, কারণ এটি দেখতে পেনিসের মতো। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে সেই ফুলের ভিডিও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে ইউটিউবে। SCHUT THE WANDERER’S নামের একটি ইউটিউবের প্রোফাইল থেকে শেয়ার করা হয়েছে সেই ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে পেনিসের মতো দেখতে ফুল। পুরুষের গোপন অঙ্গের মতো একই রকম দেখতে সেই ফুল নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গেছে, কম্বোডিয়ায় সেই ফুল তুলে নিচ্ছেন সেখানকার মেয়েরা।
সাধারণত এমন ফুল সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না। এই ফুলের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা দেখার জন্য অনেকেই সেখানে ভিড় করা শুরু করেছেন। সব থেকে বেশি ভিড় জমাচ্ছেন নারীরা। তারা তুলে নিচ্ছেন এই ধরনের ফুল।
শুধু তাই নয়, কম্বোডিয়ান সরকারের তরফে নারীদের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে এই ধরনের ফুল না ছেড়ার জন্য। কম্বোডিয়ান সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ফুল বিষাক্ত, এর ফলে যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বিপদ। কিন্তু, সরকারের কথা না মেনে, অনেকেই সেই পেনিস প্লান্ট তুলে ফেলছে। এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে তার ভিডিও। নেটিজেনরাও চমকে উঠেছে এমন আজব আকৃতির ফুল দেখে।
তবে এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই কম্বোডিয়ান সরকার এবং দেশটির বন বিষয়ক অধিদপ্তর রীতিমতো ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে। তাদের তরফে বলা হয়েছে, এই কাণ্ড খুবই দায়িত্বজ্ঞানহীন। এর ফলে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বিরল ওই গাছটি। প্রকৃতিকে ভালোবাসা, পরিবেশের প্রতি আগ্রহ বোধ করা এক জিনিস, কিন্তু যে কাণ্ড ওই তিন জন করেছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এমনকী দেশের পরিবেশ ও বনমন্ত্রীও ঘটনাটির নিন্দা করেছেন।
সূত্র: হিন্দুস্থানটাইমস