প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে পারলো না, প্রাণই গেল কিশোরীর

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২৭, ২০২২, ০৮:১৭ পিএম

প্রেমিকের সঙ্গে পালাতে পারলো না, প্রাণই গেল কিশোরীর

বাবামার পছন্দের পাত্রের সঙ্গে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকের হাত ধরে পরিবার ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিল পূজা কর্মকার নামে ১৭বছরের এক কিশোরী। তবে তার ওই আশা আরপূরণ হয়নি। রাতের অন্ধকারে প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর সময় ফসল খেতের বেড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমায় ওই কিশোরী।

রবিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের আউশ গ্রামের ভেদিয়ার কাছে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।আনন্দবাজার, সংবাদ প্রতিদিনসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।

আনন্দবাজারের রিপোর্টে বলা হয়, অজয় নদের চরের কিছুটা অংশে স্ট্রবেরি চাষ করেছেন শ্যামানন্দন পাঠক নামে বিহারের এক বাসিন্দা।

ফসল চুরি রুখতে স্ট্রবেরি খেতের বেড়ায় বিদ্যুতের তার জড়িয়ে রেখেছিলেন ওই কৃষক।তাতে তড়িতাহত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে পূজা কর্মকার।

স্ট্রবেরি খেতের পাশ থেকে ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, রাতের অন্ধকারে ঘর ছেড়ে ওই কিশোরী প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে।পূজার দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

আউশ গ্রামের দীপচন্দ্রপুর গ্রামের বাগান পাড়ার বাসিন্দা পূজা কর্মকার। পূজার বাবা অন্য রাজ্যে কর্মরত।মা দিনমজুরি করেন।পূজা এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন। কিন্তু তিনি পরীক্ষায় বসেননি।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে বাড়ির সকলে যখন শুয়ে পড়েছিলেন তখন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান পূজা। কিন্তু কেউ তা টের পাননি।এরপর রবিবার সকালে অজয় নদের চরে একটি স্ট্রবেরি জমির পাশে পাওয়া যায় পূজার দেহ।

অজয় নদের চরের কিছুটা অংশে স্ট্রবেরি চাষ করেছেন শ্যামানন্দন পাঠক নামে বিহারের এক বাসিন্দা। তার জমির পাশে পূজার দেহ পাওয়া যায়। শ্যামানন্দনের ওই জমির কেয়ারটেকার লক্ষ্মণ যাদব স্বীকার করেন, ‘‘ফসল চুরি রুখতে জমির বেড়ায় বিদ্যুতের তার জড়িয়ে রাখা হয়েছিল। সেই তারেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হতে পারে ওই কিশোরীর। রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মাঠের রাস্তা ধরে পালাচ্ছিলেন ওই কিশোরী। সেই সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে-এমন ধারনা লক্ষ্মণ যাদবের।

Link copied!