ফারাও আমেনহোটেপের মমি রহস্য উন্মোচিত

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২৯, ২০২১, ১০:৩৮ পিএম

ফারাও আমেনহোটেপের মমি রহস্য উন্মোচিত

পিরামিডের দেশ মিসরে ডিজিটালি উন্মুক্ত করা হয়েছে বিখ্যাত ফারাও প্রথম আমেনহোতেপের মমি। ১৮৮১ সালে মমিটি আবিষ্কৃত হয়েছিল। প্রথম আমেনহোটেপ ১৫২৫ থেকে ১৫০৪ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত শাসন করেছিলেন।

এই প্রথম মমিটির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মুখোশ অক্ষত রেখে প্রথমবারের মতো এর রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় ২৮ ডিসেম্বর মিসরের পর্যটন ও পুরাকীর্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। উন্নত ডিজিটাল থ্রি-ডি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফারাও প্রথম আমেনহোটেপের মমির রহস্য উন্মোচন করা হয়।

মিসরের কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিওলজির অধ্যাপক সাহার সেলিম ও সাবেক পুরাকীর্তি বিষয়ক মন্ত্রী প্রখ্যাত ইজিপ্টোলজিস্ট জাহি হাওয়াস এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন।

মিসরের পর্যটন ও পুরাকীর্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলা হয়, মিসরীয় গবেষণায় প্রথমবারের মতো রাজা প্রথম আমেনহোটেপের মুখ, তার বয়স, স্বাস্থ্যের অবস্থা, অনন্য মমিকরণ পদ্ধতি এবং পুনরুদ্ধারের বিষয়ে অনেক গোপনীয়তা উন্মোচিত হয়েছে।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, প্রথম আমেনহোটেপকে দুই হাত ক্রস করে মমি করা হয়েছিল এবং মমি করার সময় তার মাথার খুলি থেকে মস্তিষ্ক সরানো হয়নি।

এতে দেখা গেছে, এই ফারাও রাজার মরদেহ ফুলের মালা ছিল। তার মুখমণ্ডল ঢাকা ছিল কাঠের মুখোশে।

টমোগ্রাফি স্ক্যান থেকে দেখা গেছে, প্রথম আমেটহোটেপ, যিনি ২১ বছরের শাসনামলে বেশ কয়েকটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। গবেষকদের অনুমান, তিনি আঘাত বা অসুস্থতার কারণে ৩৫ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন।

মিসরের দক্ষিণ লুক্সর থেকে প্রথম আমেনহোটেপের মমিটি আবিষ্কৃত হয়েছিল। যার আঁটসাঁট বাঁধনগুলো প্রত্নতাত্ত্বিকদের খুলতে দেওয়া হয়নি। যাতে এর চারপাশে চুলের মতো ঘিরে থাকা মুখোশ এবং ফুলের মালাগুলো অক্ষত থাকে।

Link copied!