জুলাই ২, ২০২২, ০১:৫৯ পিএম
আশরাফুল আলম সাঈদ। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি হিরো আলম নামে বেশি আলোচিত-সমালোচিত। সংগীত শিল্পী, অভিনেতা, প্রয়োজকসহ নানা বিশেষণে ভূষিত এবং দেশের মানুষের কাছে পরিচিত। তার এই পরিচিতি কাজে লাগিয়ে জিয়াম নামে এক খামারি তার খামারের একটি গরুর নাম হিরো আলম রেখেছেন। ওই গরুটিকে এরইমধ্যে তিনি কোরবানির পশুর হাটে (অনলাইনে) তুলেছেন। আর গরুর হাটেও তার নামটি সাড়া ফেলেছে।
বগুড়ার ফুলবাড়ী মধ্যপাড়া এলাকার জিয়াম নামের ওই যুবক শখের বসে পালন করা একটি ষাঁড়ের (গরু) নাম ‘হিরো আলম’ রেখেছেন। আর ওই ষাঁড়টিই এখন আলোচনায়।
তবে নিজের নামে একটি গরুর নামকরণ করা নিয়ে মোটেও চিন্তিত বা মন খারাপ করেননি হিরোআলম। এপ্রসঙ্গে অনলাইন নিউজ পোর্টাল আরটিভি অনলাইনে ডট কমকে হিরো আলম বলেন, “মানুষ হিরো আলমকে ভালোবাসে বলেই কেউ গরুর নাম রাখে, কেউ ভাস্কর্য বানায়, কেউ টি-শার্ট বের করে। আমার প্রতি এটা মানুষের আলাদা ভালোবাসা।”
হিরো আলম আরও বলেন, “যে লোকটি গরুর নাম রেখেছে তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি (গরুর মালিক) আমাকে বলেছেন- ‘আপনি মানুষের পাশে থাকেন, আপনাকে ভালোবেসেই গরুর নামটা আপনার নামে রেখেছি।’ অনেকেই আমার নাম ব্যবহার করে। এতে আমার কোনো দুঃখ নেই, কষ্ট নেই।”
অন্যদিকে, খামারি জিয়াম আরটিভি অনলাইনে ডট কমকে জানিয়েছেন, “নিজ বাড়িতে তৈরি খামারে জন্ম নেওয়া ফ্রিজিয়ান জাতের এই বাছুরটিকে দেশীয় পদ্ধতিতে লালন-পালন করেছেন। নিয়মিত খাবার ও পরিচর্যা করার ফলে দিনে দিনে গরুটির ওজন বেড়ে ৯০০ কেজি বা ২২ মণ হয়েছে। কোনো ধরনের ক্ষতিকর ট্যাবলেট ও ইনজেকশন ছাড়াই সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে খড়, তাজা ঘাস, খৈল, ভুষি, চালের কুড়া, ভুট্টা, ভাতসহ পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে লালন-পালন করা হচ্ছে।”
কোরবানির পশুর হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত ৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতার এই হিরো আলমের (গরু) দাম হাঁকা হয়েছে ৮ লাখ টাকা। গরুটি একনজর দেখতে স্থানীয়রা ভিড় করছে। জিয়াম কোনো হাটে না নিয়ে বাড়িতে রেখেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও বিবরণ দিয়ে গরুটি বিক্রির চেষ্টা করছেন।”