নভেম্বর ৭, ২০২৪, ০৯:১০ এএম
রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুকে ছয় দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন। শুনানির সময় আমুর আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরীকে একদল আইনজীবী মারধর করে আদালত থেকে বের করে দেন।
সকালে আদালতে হাজির করা হলে পুলিশ আমুকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানায়। আবেদনে বলা হয়, ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আমু। ঘটনাটির প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
শুনানির সময় প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আমু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সহচর। ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন গণআন্দোলনে গুলি করে নিরীহ মানুষ হত্যার পরিকল্পনায় তাঁর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে দাবি করেন। এসব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
অন্যদিকে, আসামিপক্ষ থেকে আমুর রিমান্ড আবেদন বাতিল করে তাঁর জামিনের জন্য আবেদন করা হয়। শুনানিতে আমুর আইনজীবী স্বপন রায় চৌধুরী বক্তব্য রাখতে গেলে কিছু আইনজীবী তাঁকে মারধর করে আদালত থেকে বের করে দেন।
পরে আমু নিজেই আদালতে বলেন যে তাঁর আইনজীবীর বক্তব্যকেন্দ্রিক পরিস্থিতি দেখে তিনি কথা বলতে চান না। তিনি আরও বলেন, “আমরা রাজনীতি করি। আইনজীবীরা ভাই ভাই। পরিবেশ তৈরি হলে তখন কথা বলব।”
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আমুকে ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
স্বপন রায় চৌধুরী পরে সাংবাদিকদের বলেন, শুনানিতে কিছু বলতেই তাঁকে মারধর করে আদালত থেকে বের করে দেওয়া হয়।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমুকে আদালতে আনা হয় এবং তাঁকে হাজতখানায় রাখা হয়। পরে মাথায় পুলিশের হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে তাঁকে আদালতে তোলা হয়।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে আমুকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানায়। ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, আমুর বিরুদ্ধে হত্যাসহ মোট ১৫টি মামলা রয়েছে।