বিএনপির দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ আজ আর নেই: নানক

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ১৫, ২০২৪, ০৪:৫৫ পিএম

বিএনপির দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ আজ আর নেই: নানক

সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি: দ্য রিপোর্ট.লাইভ

বিএনপির যে দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিল সেই দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ আজকে আর নেই বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন তিনি। একই সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সচিবালয়ে হাস্যোজ্জ্বল জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি: দ্য রিপোর্ট.লাইভ

সম্প্রতি ঈদ মানুষের কষ্টে কেটেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী। তার এই মন্তব্যের সমালোচনা করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘রিজভী সাহেবরা যে কথা বলেন তারা সেই বাংলাদেশ দেখতে অভ্যস্ত। আজকে বাংলাদেশ এমন এক জায়গায় গেছে যে পেছনে তাকানোর সময় নেই।’

ঈদের ছুটি শেষে সচিবালয়ে অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে করমর্দন করেন। এ সময় সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন। ছবি: দ্য রিপোর্ট.লাইভ

আজ বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্ব আজ হাতের নাগালের মধ্যে। কাজেই রুহুল কবির রিজভী সাহেবরা যে দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছিলেন সেই দুঃখ-কষ্টের বাংলাদেশ আজকে আর নেই।’

ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রসঙ্গ ওঠালে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য জবাব দেন, ‘আমরা যারা সরকারের লোক ও সরকারে আছি, আমরা কিন্তু রোজার মাসের আগেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। রমজানের আগেই বাজার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমার নির্বাচনী এলাকা মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরে বাংলা নগরে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সুলভমূল্যে কেনাকাটার ব্যবস্থা করেছিলাম।’

ঈদের ছুটি শেষে সচিবালয়ে ফিরে সহকর্মীদের সঙ্গে কোলাকুলি করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি: দ্য রিপোর্ট.লাইভ

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার মানুষ যে বাজার পরিস্থিতির মুখোমুখি ছিল মফস্বলের মানুষ কিন্তু সেই পরিস্থিতির মুখে ছিল না। ঢাকা শহরে এক পরিস্থিতি, মফস্বলের আরেক পরিস্থিতি। তৃণমূল কৃষক যে দামে বিক্রি করে ভোক্তার কাছে এসে তা কয়েকগুন গুণ বেড়ে যায়। এটা আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছি।’

তবে কি সিন্ডিকেট ভাঙতে পারেননি- এমন এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট একটা পপুলার (জনপ্রিয়) শব্দ। সিন্ডিকেট আমার কাছে মনে হয়েছে বড় ব্যাপার। তবে সিন্ডিকেট কাঁচাবাজারের ব্যাপারে প্রযোজ্য নয়। মাঝখানে যারা, ভোক্তা যাদের কাছে মালামালটা কেনে সেখানে নিয়ন্ত্রণ হওয়া দরকার। সেই কাজটা সরকার করবে, সেটা সরকারের দায়িত্ব।’

পাটমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যারা সরকারের আছি আমাদের দায়িত্ব। সুলভ মূল্যের বাজারের কারণে ঢাকা শহরে ১৫ রোজার পরে জিনিস পত্রের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে এসেছে। জিনিসপত্র, কাঁচামালের দাম নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’

সচিবালয়ে অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি: দ্য রিপোর্ট.লাইভ

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ দুটি বড় উৎসব পালন করলো। ঈদুল ফিতরের পর বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে। দুটি উৎসব মানুষ আনন্দের সঙ্গে মধ্যে দিয়ে পালন করেছে। ধন্যবাদ জানাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সবাইকে।’

সচিবালয়ে উপস্থিতি নিয়ে নানক বলেন, ‘সচিবালয়ে মানুষজন কম দেখে আজকে আমারও ভালো লাগেনি। অনেক ভিড়ের সচিবালয়ে আজকে ভিড় কম। ঢাকার রাস্তায় যানজট নেই। প্রকৃতপক্ষে আমার জানামতে দুই পর্ব মিলে এতো লম্বা ছুটি কাছে অতীতে হয়নি। এখন স্বল্প সময়ের মধ্যে মানুষ বাড়িতে যায়। সব যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দিয়েছে। এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আমার কাছে মনে হয় এই সপ্তাহ এমন ঢিলেঢালা যাবে এবং আগামী সপ্তাহে কর্ম চাঞ্চল্য ফিরে আসবে।’

Link copied!