অনলাইনে জুয়া খেলা নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন আইন চাচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ১৮৬৭ সালের পাবলিক জুয়া আইন অনুযায়ী কেউ যদি প্রকাশ্যে কোনো সরঞ্জাম ব্যবহার করে জুয়া খেলে তবে তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
শনিবার দুপুরে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪–এর পঞ্চম দিনে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে তিন মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।
সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সভায় পুলিশ সুপার পদমর্যাদা থেকে ঊর্ধ্বতন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সভায় উপস্থিত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রথম আলো জানিয়েছে, পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মন্ত্রী ও সচিবদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন করা হলে তা হবে যুগোপযোগী হবে।
আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িতদের আটক করা হলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক মামলা করা যায় না। কারণ, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রুজু করতে সরকারের অনুমোদন নিতে হয়। এতে দীর্ঘ সময় লাগে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা রুজু করতে প্রক্রিয়া যাতে সহজ ও কম সময় লাগে, সেই ব্যবস্থা নিতে তিনি মন্ত্রী ও সচিবদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এছাড়াও, বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রী সচিবদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
সভায় পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, রাজারবাগে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালি পুলিশ সদস্যরা প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। তিনি সেসব পুলিশ সদস্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। সভায় প্রস্তাবিত বিষয়গুলো গুরুত্বসহ বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত স্বাভাবিক থাকার কারণে দেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবিত বিভিন্ন বিষয়গুলোকে যৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসব বিষয় বিবেচনায় অত্যন্ত আন্তরিক।