পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা, তাপস ও সেলিম সরাসরি জড়িত

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ১৭, ২০২৪, ০৮:৫০ পিএম

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনা, তাপস ও সেলিম সরাসরি জড়িত

ছবি: সংগৃহীত

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও শেখ ফজলে নূর তাপস সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন বিডিআর বিদ্রোহে নিহত মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে রাকিন আহমেদ ভূঁইয়া।

শনিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তোলেন তিনি। রাকিন বলেন, “আওয়ামী লীগের একজন নেতা ফোন করে আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন, তার নেত্রী (শেখ হাসিনা) আমার মা-বাবাকে জবাই দিয়েছেন। যদি বেশি বাড়াবাড়ি করি তবে মা-বাবার মতো আমাকেও জবাই দিয়ে দেওয়া হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে উষ্মা প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, “পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনও ঘটনা আমার জানা নেই, যেখানে রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) অন্য একটা বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে রাজধানীতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে।”

বিডিআর বিদ্রোহে নিহত মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে বলেন, “গত ১৫ বছরে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের ট্রায়াল বা তদন্ত আমরা মানি না। কারণ প্রধান যে হত্যাকারী, নির্দেশদাতা তিনি তখন ক্ষমতায় ছিলেন। খুনি কি তার নিজের বিচার করবে? মুখ বন্ধ করে দেখতে হয়েছে, কেমন করে তদন্ত, ট্রায়াল প্রভাবিত করল, ডাল-ভাতের কথা বলল। নীরবতায় সহ্য করতে হয়েছে।”

এ সময় পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সেই দিনকে শহীদ সেনা দিবস করার দাবিও জানান তিনি।

একই সময় ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন বিডিআর বিদ্রোহে নিহত কর্নেল কুদরত ইলাহী রহমান শফিকের ছেলে অ্যাডভোকেট সাকিব রহমান। তিনি জানান, বাহিনীর পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক মহাপরিচালক লেফট্যানেন্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর। যিনি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। আমরা চাইবো অন্তত তার তদন্ত কমিটির রিপোর্টটা পাবো। উচ্চ আদালত যে তদন্ত কমিশনের কথা বলেছেন, সেগুলো যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে পর্দার আড়ালে থাকা  ষড়যন্ত্রকারীরা বেরিয়ে আসবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের শিকার ৫৭ জন কর্মকর্তা ও ১৭ সিভিলিয়ানের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তারা নাম-পরিচয় উল্লেখ না করে গত ১৫ বছরে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ কর্নেল কুদরত ইলাহীর ছেলে সাকুইব রহমানের সঞ্চালনায় বিভিন্ন পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।

Link copied!