ব্যাটে বলে মিলে গেলে বড় পর্দাতেও আমাকে দেখবেন: কেয়া পায়েল

নাট্যাঙ্গনে গত এক বছরে নবীন অভিনয়শিল্পীদের যেসব নাটক আলোচিত হয়েছে, তার মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন কেয়া পায়েল। খুব অল্প সময়ে অভিনয়ের কারিশমা দিয়ে দর্শক ও নির্মাতাদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। কাজ করে চলেছেন নাটকের শীর্ষ নায়কদের সাথে। ঈদে বিভিন্ন কাজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে দ্য রিপোর্ট লাইভ এর সাথে আড্ডা দিলেন কেয়া পায়েল। সাথে ছিলেন নিফাত সুলতানা। 

দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ: নাটকের শীর্ষ নায়কদের বিপরীতে কাজ করছেন। বয়সের ফারাক ও রয়েছে। সেক্ষেত্রে কাজটি কিভাবে উপভোগ করছেন?

কেয়া পায়েল: বয়স দিয়ে তো আর্টিস্ট বিবেচনা করা হয় না। আর্টিস্টদের কোন বয়স হয় না। তবে সম্মানের জায়গাটুকু অটুট থাকে এবং সবার কাছ থেকেই শেখার আছে। শিখছি। সবাই খুব হেল্পফুল। নতুন হিসেবে সাবলীল অভিনয়ের চেষ্টাটাই করে যাচ্ছি। যেহেতু শখের জায়গা থেকে কাজ করা তাই এনজয় করছি।

দ্য রিপোর্ট: কোন ধরনের গল্প আপনার কাছে বেশি প্রায়োরিটি পায়?

কেয়া: বাস্তবধর্মী গল্প। যেগুলো আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়ত দেখি এমন গল্প এবং গল্পটা আমি কতোটুকু প্রেজেন্ট করতে পারবো। অর্থাৎ বাস্তবতার সাথ রিলেট করতে পারি সেই গল্পে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। তবে যে গল্পগুলোর জন্য মনে হয় আমি ম্যাচিউর নই তখন সেগুলো ফিরিয়ে দেই।

দ্য রিপোর্ট: বড় পর্দায় অভিনয়ের ইচ্ছে আছে কিনা?

কেয়া: আমি আসলে কাজটা ভালোবাসি। ভালোবেসে কাজগুলো করি। সেক্ষেত্রে ছোট পর্দা বা বড় পর্দা হিসেব করে কাজ করি না। কাজটা ভালোভাবে করতে চাই। তাই এগুলো নিয়ে কোন ক্যালকুলেশনও করি না। কখন কোন প্লাটফর্মে কাজ করবো তা সময়ে বলে দিবে। ব্যাটে বলে মিলে গেলে অবশ্যই বড় পর্দায় দেখা যাবে।

দ্য রিপোর্ট: এই ঈদে আপনার কতোগুলো কাজ আমরা দেখতে পাবো?

পায়েল: বেশ কয়েকটি নাটক আসবে। সবগুলোর নাম এখন বলতে পারছি না। কাজের চাপ ও রয়েছে। অনেক গুলোর নাম নির্ধারণ হয়েছে আবার নাম পরিবর্তন ও হতে পারে। ঈদ খুব কাছে এবং গ্রীষ্মকালও চলে এসেছে । গরমের মধ্যে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। দর্শক আমার কাজগুলো আপন করে নিলেই কষ্ট সার্থক।

দ্য রিপোর্ট: দর্শকদের কাছে আপনার কি চাওয়া?

পায়েল: নাটকগুলো নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। আমার কাজগুলো দেখার পর দর্শকের কেমন প্রতিক্রিয়া হয় সেই অপেক্ষা করছি। তবে আশাকরি দর্শক সেগুলো পছন্দ করবে। ভালোকিছু নিয়ে আসছি।

• বিষয় :
• সাক্ষাৎকার