সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩, ১১:৩০ পিএম
এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ২টি ম্যাচেই হেরে গেল বাংলাদেশ। এখন একটি ম্যাচ আছে ভারতের সঙ্গে সেটা ১৫ সেপ্টেম্বর। তবে বাংলাদেশের এশিয়া কাপের ফাইনালে যাওয়ার আশা আপাত দৃষ্টিতে শেষ। বৃষ্টি একটা ভাল রোল প্লে করবে। কলম্বোয় বাংলাদেশ হেরে গেল শ্রীলংকার কাছে ২১ রানে।
পাকিস্তানের সঙ্গে আগের ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। এবার শ্রীলংকার সাথে পারল না তারা। ২৫৮ রান টার্গেট ছিল। বাংলাদেশ ৪৮.১ ওভারে ২৩৬ রানে সবকটি উইকেট হারায়।
ভারতের ম্যাচ খেলে দেশে ফিরবে বাংলাদেশ। এরপর রয়েছে নিউজিল্যান্ড সিরিজ। তবে বৃষ্টির যে হুমকি। সেক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক বলে দেয়া যাচ্ছে না বাংলাদেশের বিদায়।
নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশের সামনে আসবে বিশ্বকাপ। ৫ অক্টোবর সে বিশ্বকাপ শুরু হবে ভারতে। আর বিশ্বকাপের আগে একটা চাপ বোধ রয়েছে বাংলাদেশের।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার বিপক্ষে টস ভাগ্যে জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের চার ম্যাচের সবকটিতেই টস জিতলেন সাকিব।
গ্রুপ পর্বের মত বাংলাদেশকে হারিয়ে জয় দিয়ে সুপার ফোর শুরু করলো শ্রীলংকা। সেই সাথে ওয়ানডেতে টানা ১৩ ম্যাচ জয়ের স্বাদ নিলো লংকানরা।
সাদিরা সামারাবিক্রমা ও কুশল মেন্ডিসের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে এশিয়া কাপ সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান করেছে শ্রীলংকা। সামারাবিক্রমা ৯৩ ও কুশল ৫০ রান করেন। বাংলাদেশের পেস ত্রয়ী হাসান মাহমুদ-তাসকিন আহমেদ ৩টি করে এবং শরিফুল ইসলাম ২টি উইকেট নেন। জবাবে তাওহিদ হৃদয়ের লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি সত্বেও ১১ বল বাকী থাকতে ২৩৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচসেরা সাদিরা। যিনি ৭২ বলে ৯৩ রানের ইনিংস খেলেন। দারুণ সূচনা করে ১১ ওভারে ৫৫ রান এনে দেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও মেহেদি হাসান মিরাজ। শানাকার করা ১২তম ওভারের প্রথম বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ৪টি চারে ২৯ বলে ২৮ রান করা মিরাজ।
এক ওভার পর মিরাজের সঙ্গী নাইমকেও শিকার করেন শানাকা। শর্ট বল বুঝতে না পেরে সময়মত ব্যাট সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হওয়ায় উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন টেস্ট মেজাজে থাকা নাইম। ১টি চারে ৪৬ বলে ২১ রান করেন নাইম।
নাইমের বিদায়ে উইকেটে আসেন অধিনায়ক সাকিব। পেসার পাথিরানার বলে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ৭ বলে ৩ রান করা সাকিব।
সাকিবের পর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন লিটনও। স্পিনার ওয়েলালাগের শিকার হওয়া আগে ২৪ বলে ১৫ রান করেন লিটন। ৫৫ রানের দারুণ শুরুর পর ৮৩ রানে চতুর্থ ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
উইকেট পতন ঠেকাতে জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম ও তাওহিদ হৃদয়। শ্রীলংকার বোলারদের সাবধানে সামলিয়ে উইকেটে টিকে থাকার লড়াই করেন তারা। ৩৩তম ওভারে জুটিতে ৫০ পূর্ণ হয় তাদের।
মুশফিক-হৃদয় জুটি ভাঙতে মরিয়া হয়ে উঠে শ্রীলংকা। অবশেষে ৩৮তম ওভারে অষ্টমবারের মত আক্রমনে এসে মুশফিককে থামান শানাকা। বাউন্ডারিহীন ইনিংসে ৪৮ বলে ২৯ রান করেন মুশফিক। পঞ্চম উইকেটে ১১২ বলে ৭২ রানের জুটি গড়েন হৃদয়-মুশফিক।
মুশফিক ফেরার পরই ওয়ানডেতে চতুর্থ অর্ধশতক করেন ৭৩ বল খেলা হৃদয়। ষষ্ঠ উইকেটে শামীম হোসেনকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন হৃদয়। ঐ জুটিতে ২৫ বলে আসা ২৬ রানে মাত্র ৫ অবদান রেখে থিকশানার শিকার হয়ে শামীম আউট হলে ১৮১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
শামীমের আউটে বাংলাদেশের শেষ ভরসা ছিলেন হৃদয়। ৪৪তম ওভারে থিকশানার বলে আম্পায়ারস কলে লেগ বিফোর আউট হন ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯৭ বলে ৮২ রান করা হৃদয়।