ইকুয়েডর 'অযোগ্য' খেলোয়াড় মাঠে নামিয়েছে, এমন অভিযোগ ফিফার কাছে করেছিল চিলি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে ইকুয়েডরের পক্ষে রায় দিয়েছিল ফিফা। গত জুনে কাস্তিলোকে ইকুয়েডরের নাগরিক তথা খেলোয়াড় হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ফিফা। যার ফলে চিলির আবেদন হয়ে পড়ে ভিত্তিহীন। সিদ্ধান্ত হয়, কাতার বিশ্বকাপে ইকুয়েডরই খেলবে। তবে বিশ্বকাপ শুরুর দুই মাস আগে দেখা দিয়েছে নতুন বিতর্ক। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে আরও শক্ত প্রমাণ, যার ফলে এখন বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় রয়েছে ইকুয়েডর।
গতকাল মঙ্গলবার এ নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মেইল অনলাইন।’
ফেডারেশনের অফিশিয়াল তদন্তে ইকুয়েডরের এক খেলোয়াড় ভুয়া জন্মসনদ ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছেন, এই প্রমাণ হাতে পেয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। পরে ইকুয়েডর ফুটবল ফেডারেশন (এফইএফ) তা ধামাচাপাও দিয়েছে। ইকুয়েডরের এখন কাতার বিশ্বকাপে খেলা শঙ্কার মুখে বলে মনে করছে সংবাদমাধ্যমটি। ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব উতরে কাতার বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশ। ‘এ’ গ্রুপে ইকুয়েডরের প্রতিপক্ষ কাতার, সেনেগাল ও নেদারল্যান্ডস। ২০ নভেম্বর কাতার-ইকুয়েডর ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হবে।
কাতার বিশ্বকাপ শুরুর আগে শেষ মুহূর্তে ইকুয়েডরকে নিষিদ্ধ করা হলে, তা ফিফার ভাবমূর্তির জন্যই খারাপ হবে। কারণ, চিলির অভিযোগ গত জুনে নাকচ করে দিয়ে কাস্তিলোকে ইকুয়েডরের নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করেছিল ফিফা।