মে ১৪, ২০২৩, ০২:৫৪ পিএম
ঘূর্ণিঝড় মোখার মতো মহাবিপদেও সৈকতে সেলফি তুলছেন পর্যটকেরা। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও। ওই ঘটনায় তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানকে ফোন দিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য নিয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা ইস্যুতে কক্সবাজারকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হলেও সৈকতে গিয়ে সেলফি তুলতে দেখা গেছে অনেককে। এ নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ফোন করেছিলেন।
ঘূর্ণিঝড় মোখা তাণ্ডব চালাচ্ছে কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায়। ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ
প্রধানমন্ত্রী ফোনে আমাকে বলেছিলেন, এখনো বিচে মানুষ সেলফি তুলছে, আনন্দ করছে; এটাকে তোমরা নিয়ন্ত্রণ করো।
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করার পরেও আমরা দেখেছি যে সমুদ্রের বিচে (সৈকত) বিভিন্ন মানুষ যাতায়াত করছে। আপনাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে তাদের নিয়ন্ত্রণে কোনো ব্যবস্থা ছিল না; প্রশ্নে এনামুর রহমান বলেন, ডেফিনেটলি আছে। মহাবিপদ সংকেত দেওয়ার পরে কিন্তু বিচ খালি হয়ে গেছে। বিচ শুধু নয়, সমস্ত টুরিস্ট এক্টিভিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সেটা দেখে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের (পিএসও) সাথে কথা বলেছি। তিনি এরপরে বিজিবি, টুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ- সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সবার প্রচেষ্টায় তাদেরকে হোটেলে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় কেউ ছিল না। এমনকি গতকালকে রাত সাড়ে ৯টার সময় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ফোন দিয়েছিলেন যে, এখনো বিচে মানুষ সেলফি তুলছে, আনন্দ করছে; এটাকে তোমরা নিয়ন্ত্রণ করো। পরে আমরা ডিসির সাথে কথা বলার পরে বিজিবি বিচ খালি করেছে।
তবে মোখার প্রভাবে সাগরের উত্তাল ঢেল দেখতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভিড় করেন ৩০ হাজারের বেশি উৎসুক জনগণ। তাদের সৈকত থেকে সরিয়ে দিতে টহল দেয় বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। শনিবার বিকেল ৫টার পর থেকে টহল জোরদার করেন বিজিবি সদস্যরা। কিন্তু সরিয়ে দেওয়ার কিছুক্ষণ পর আবারও সৈকতে নেমে যান পর্যটকরা। যারা মোবাইলে লাইভ দেওয়ার পাশাপাশি ছবি তুলতে থাকেন। আবার অনেকে অহেতুক সমুদ্রের পানিতে নেমে পড়েন। বিচকর্মী মাইকিং করলেও কোনো পাত্তাই দেন না উৎসুক জনতা।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে আশ্রিত মানুষের সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। বলেন, এবারের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে ভালো।