ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার আগেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান থেকে শুরু করে অন্যান্য ফসল তুলে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে অনেক স্থানে তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা করছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে মোখা সরাসরি বাংলাদেশে তাণ্ডব না চালানোতে ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে।
কক্সবাজারেই ক্ষতি প্রায় ১২ কোটি
ঘূর্ণিঝড় মোখায় কক্সবাজারের ৩ হাজার ৫২০ জন কৃষকের ১১ কোটি ৪৪ লাখ ৬১ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। জেলা ২ টি উপজেলা টেকনাফ ও মহেশখালীতে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুধু মাত্র গ্রীষ্মকালীন সবজি ও পান চাষীদের ঘূর্ণিঝড়ে এমন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপ-পরিচালক মো. কবির হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মোখার আঘাতে নিমজ্জিত হয়ে টেকনাফের মোট ৩৪০ হেক্টর জমির সবজি ও পান বরজের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবজি ১৬০ হেক্টর ও পান বরজ ১৮০ হেক্টর। মহেশখালী উপজেলার মোট ৬ হেক্টরের মধ্যে সবজি ২.৫ হেক্টর ও পান বরজ ৩.৫ হেক্টর। যার মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত টেকনাফে ৫০ হেক্টর ও মহেশখালীর ৬ হেক্টর। ক্ষতির বিবরণী ইতিমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।
আশঙ্কা ছিল বরিশাল নিয়ে
ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত করার আগেই সকল স্থানে ৮০ শতাংশ ধান পাকলে তা কেটে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তবে বরিশাল অঞ্চলে ধান পরে রোপন করায় সেখানে পরিপক্কতার পরিমাণ কম ছিল। এই অঞ্চলের প্রায় ৪০ শতাংশ ধান এখনও কাটা হয়নি। যার ফলে মোখায় এই অঞ্চলের চাষীদের নিয়ে শঙ্কায় ছিল কৃষি কর্মকর্তারা। তবে বরিশাল অঞ্চলে কোন প্রভাব পড়েনি মোখার।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা (সরেজমিন উইং) কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে জানান, আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছিলাম ধান কাটার। যেহেতু প্রকৃ্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে বরিশাল অঞ্চলে মোখার প্রভাব না পড়ায় পরিপক্ক ধান তুলতে পারবে তারা।