জেলা-উপজেলায় ১১ অক্টোবর থেকে ৫-১১ বছরের শিশুদের টিকাদান শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ৩, ২০২২, ০৮:০৬ পিএম

জেলা-উপজেলায় ১১ অক্টোবর থেকে ৫-১১ বছরের শিশুদের টিকাদান শুরু

আসছে ১১ অক্টোবর থেকে দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) থেকে আর টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না বলেও তিনি জানান।

অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ৫ থেকে ১১ বছর শিশুদের চলমান টিকা আগামী ১১ অক্টোবর থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শুরু হবে। শিশুদের দেওয়ার মতো এখনও তিন কোটির বেশি টিকা অধিদপ্তরের হাতে আছে বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

চলতি বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া টিকাদান কর্মসূচির বিশেষ ক্যাম্পেইন শেষ হচ্ছে আজ (৩ অক্টোবর)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ এই টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। তবে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) পর থেকে আর টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না বলে জানান অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৯৭ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “৯০ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ এবং ৪১ শতাংশ তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এই কর্মসূচি বিশেষ করেই তাদের জন্য, যারা এখনও টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া থেকে বাকি রয়েছেন। যারা এখনও টিকার বাইরে রয়েছেন তাদের জন্যই এই টিকাদানের এই বিশেষ কর্মসূচি ছিল।”

তিনি  আরও বলেন, ৪ অক্টোবর থেকে আর টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না। তবে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ চলবে। টিকা না দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, টিকার স্বল্পতা রয়েছে, সঙ্গে কিছু টিকার মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে।  

বুস্টার ডোজের পর চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, “এব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোনো নির্দেশা পাইনি। তাই এ নিয়ে এখনও কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি।”

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন,“ যেসব দেশে চতুর্থ টিকা দেওয়া হচ্ছে, তারা তাদের দেশের প্রটোকল মেনে সেটা দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যদি এব্যাপারে কোনো নির্দেশনা দেয়, তাহলে তখন সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

দেশে করোনার সংক্রমণ ফের বাড়ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মৃত্যুহার কম হলেও মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মানা, করোনার টিকা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।”

Link copied!