সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১, ০৯:২৮ পিএম
আইটেক সহযোগিতায় বাংলাদেশ ভারতের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।ভারতের আইটেক কর্মসূচির অধীনে ২০০৭ সাল থেকে এই পর্যন্ত চার হাজারের বেশি বাংলাদেশী তরুণ পেশাজীবী বিশেষায়িত স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী কোর্স সম্পন্ন করেছে বলেও তিনি জানান।
ভারতীয় কারিগরি এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা (আইটেক) দিবস উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ১৯৬৪ সালে ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা কৌশল কাঠামোর আওতায় ভারতের উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আইটেক কর্মসূচি প্রচলিত হয়। এর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা ও উপযুক্ত প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদান করা হয়।
আইটেক সহযোগিতায় বাংলাদেশ ভারতের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার উল্লেখ করে বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী আরও বলেন, প্রতি বছর হিসাব, নিরীক্ষা, ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ, গ্রামীণ উন্নয়ন, সংসদীয় বিষয়াবলীর মত বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য ১৬১টি সহযোগী দেশে ১০ হাজারের বেশি প্রশিক্ষণ পর্বের আয়োজন করা হয়।
এ পর্যন্ত চার হাজারের বেশি বাংলাদেশী তরুণ পেশাজীবী এ ধরণের বিশেষায়িত স্বল্প ও মধ্যমেয়াদী কোর্স সম্পন্ন করেছে উল্লেখ করে ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের মেধাবীদের সাথে আমাদের সেরা বিষয়গুলো ভাগ করে নেয়ার সুযোগ পাই। যার ফলে, আমরাও এদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা থেকে সমানভাবে উপকৃত হই বিশেষ করে যা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করছে।
ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে জানা যায়, গত বছর কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে ই-আইটেকের অধীনে বেশ কয়েকটি ভার্চুয়াল কোর্সের আয়োজন করা হয়েছিল। এসব কোর্সের মধ্যে ছিল প্রথম সারির বিভিন্ন ভারতীয় ইনস্টিটিউটে নারীকেন্দ্রিক প্রোগ্রাম, কোভিড ব্যবস্থাপনা, সুশাসন অনুশীলন, ডেটা অ্যানালিটিক্স, দূর অনুধাবন, অ্যাডাল্ট হেপাটোলজি ইত্যাদি বিষয়ক কোর্স।