মে ১৭, ২০২২, ০১:২৯ এএম
ইলন মাস্কের বহুল আলোচিত স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক ২০২৩ সালে বাংলাদেশে থেকে প্রি অর্ডারের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের কাছে থেকে অনুমতি ও বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়া এই ইন্টারনেট সেবা দেয়ার ঘোষণা কিভাবে দেয় তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
আগে আবেদন পরে বিবেচনা
স্টারলিংকের পোস্ট করা মানচিত্রে 'শিগগির আসছে' চিহ্নিত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, সৌদি আরব, পাকিস্তান, ভারত এবং বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, অনুমতি ছাড়া ইলন মাস্ক স্যাটেলাইট দিয়ে সার্ভিস দেয়া শুরু করবে এই ঘটনা তো ঘটবে না। বাংলাদেশের কাছে অনুমতি চাইতে হবে ইলন মাস্কের যে সেই এই স্যাটেলাইট আমার দেশে দিতে পারবে কিনা। আগে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান অনুমতি চাইবে তারপর আমার দেশের সম্মতির উপর নির্ভর করবে স্যাটেলাইট চালু হওয়া।
দুই ধাপে লাগবে অনুমোদন
স্টারলিংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ থেকে প্রি-অর্ডার গ্রহণ করছে। বাংলাদেশ থেকে প্রি-অর্ডার পরিষেবা পেতে স্টারলিংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে ৯৯ ডলার ফি প্রদানের একটি নির্দেশনা আসে। সেখানে একটি বার্তায় বলা হয়েছে যে, স্টারলিংক ২০২৩ সালে এই এলাকায় তার পরিষেবা প্রসারিত করার আশা করছে।
তবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে জানায়, আমাদের দেশে কেউ যদি স্যাটেলাইট সার্ভিস চালু করতে চায় তাহলে প্রথমত সরকারের কাছ থেকে ল্যান্ডিং পারমিশন নিতে হবে। দ্বিতীয়ত, টেলি কমিউনিকেটেড সার্ভিস নিতে চাইলে বিটিআরসির অনুমোদন লাগবে।
তিনি আরও বলেন, এই দুইটার অনুমোদন আমার দেশ থেকে নেয়া হয়নি। আমেরিকান প্রতিষ্ঠান তাদের ক্ষেত্র অনুযায়ী সারা বিশ্বে স্যাটেলাইট দিতে পারে কিন্তু আমার দেশে দিতে পারবে কিনা সেটার এখতিয়ার আমার দেশের সরকারের।
উল্লেখ্য যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, জার্মানি, ফ্রান্স ও স্পেনের কিছু অংশসহ বিশ্বের ৩২টি দেশে স্টারলিংকের ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু রয়েছে। 'সেবার আওতাধীন' চিহ্নিত দেশগুলো অবিলম্বে তাদের স্টারলিংক ইনস্টলেশন প্যাকেজ পাবে। ম্যাপে 'ওয়েটলিস্ট' এবং 'শিগগির আসছে' চিহ্নিত এলাকাও রয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়, প্রাপ্যতা নিয়ন্ত্রক অনুমোদনের ওপর নির্ভরশীল এবং প্রতিটি কভারেজ এলাকায় 'আগে আসলে আগে পাবেন' ভিত্তিতে অর্ডার গ্রহণ করা হবে।