দেশে সব সময় বিদেশি কোম্পানির গাড়ি দেখে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু এবার এই প্রথমবারের মত দেশীয় ব্র্যান্ড ‘বাংলা গাড়ি’ রপ্তানি ও সাশ্রয়ী মূল্যে আধুনিক সুবিধা দিবে হোসেন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান 'বাংলা কারস লিমিটেড'। এই গাড়িতে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা থাকবে।
এ বিষয়ে হোসেন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাকির হোসেন দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, ‘কোটি টাকা খরচে মার্সিডিজ-বিএমডব্লিউ গাড়িতে একজন গ্রাহক যে সুবিধা পান বাংলা গাড়িতে সে সুবিধা মিলবে মাত্র ৩০ লাখ টাকায়। ইতোমধ্যে ১১৪টি গাড়ি বিক্রিও হয়ে গেছে। তবে গাড়ি বিক্রি কার্যক্রম শুরু হলেও আনুষ্ঠানিক যাত্রা এখনও শুরু হয়নি। বাংলাদেশে তৈরি একটি বড় অর্জনের নাম ‘বাংলা কার ’। এখন সাত সিটের গাড়ি নামানো হয়েছে। পরে পাঁচ সিটের গাড়ি নামানো হবে। এছাড়া আমরা ৮ থেকে ১০ লাখ টাকায় গাড়ি দিবো গ্রাহকদের।'
তিনি বলেন, বাংলা কার তৈরির কারখানা নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটিতে। সেখান থেকে ১২ ধরনের গাড়ি বাজারজাত করা হবে। এর মধ্যে থাকবে প্রাইভেট কার, ট্রাক, বাস, লরি ট্রাক, পিকআপ উল্লেখযোগ্য।’
এ প্রসঙ্গে এমডি আরো বলেন, ‘আমরা দেশীয় ব্র্যান্ড, দেশীয় ডিজাইনে গাড়ি ম্যানুফ্যাচারিংয় করছি। জাপানের ইসুজুর সহশযোগিতা ইঞ্জিন, চায়না বডি এবং চেসি এসেছে ইন্দোনেশিয়ার থেকে। এসব গাড়ি অন্য গাড়ি থেকে ভিন্ন। পিএইচপি, প্রোটন বা মিতসুবিশি একটা বা দুটি মডেলের গাড়ি তৈরি করতে পারবে কিন্তু বাংলা কারস সব মডেলের গাড়ি তৈরি করতে পারবে। আবার ৮ রঙের গাড়ি থাকলেও ক্রেতা যদি অন্য কোনো রঙ পছন্দ করেন, আমরা সেটাও দিতে পারব। এটা বিদেশি গাড়ি নয়, নিজেদের নামে নিজেদের গাড়ি প্রথমবারের মতো আমরা উৎপাদন করছি। আগামী বছরের শুরু বা মাঝামাঝিতে রপ্তানিতে যাওয়ার চিন্তা করছি। ’
টয়োটা জাপানি কোম্পানি, হাভেল চায়নিজ কোম্পানি কিন্তু বাংলা কার আমাদের দেশীয় কোম্পানির গাড়ি। টাটার মতো আমরাও দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করব। আমরা এখন ট্রায়াল প্রডাকশনে আছি, খুব দ্রুত আমাদের আরও গাড়ি আসবে, পুরো বিশ্ব দেখবে যে ‘মেইড ইন বাংলাদেশের বাংলা গাড়ি। ’
এটির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম হলো- গাড়িটি পোশাক খাতের মতো মেইড ইন বাংলাদেশ নাম বহন করবে। দেশকে গাড়ি উৎপাদনে নেতৃত্ব দেবে জাপান, চায়না ও ভারতের মতো। প্রথম পর্যায়ে দেশের ৮ বিভাগে থাকছে বাংলা গাড়ির শোরুম। তাছাড়া আরও ৩০টি শোরুম খুলতে যাচ্ছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
গাড়ি তৈরীর কারখানা:
পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, ‘খুব দ্রুত পিকআপ, ট্রাক নামবে। এরপর আমরা লরি, বাসসহ ১২ ধরনের গাড়ি নামাব। তাছাড়া ইলেকট্রিক গাড়ি নামবে আগামী বছর। পিএইচপি, প্রোটন, প্রগতি মিতশুবিসির গাড়ি তৈরি করছে। আমাদেরটা নিজেদের গাড়ি। দেশের মাটিতে দেশের গাড়ি নির্মাণ হচ্ছে। ’
গাড়ির এ-টু-জেড ফ্যাসিলিটি বাংলাদেশে থেকেই পাবে। বন্ড লাইসেন্স পেলে প্রতি বছর চার থেকে পাঁচ হাজার গাড়ি বাজারজাত করার ইচ্ছা আছে। ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল, ইলেকট্রিক ভ্যাহিকেল, বড় লরি ট্রাক, সিমেন্টসহ যত ধরনের গাড়ি আছে সব গাড়ি উৎপাদন করব। তিনি বলেন, প্রতিটি গাড়িতে থাকছে ৫ বছরের ওয়ারেন্টি-গ্যারান্টি।
নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটিতে হোসেন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে তাদের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বাংলা কার লিমিটেড ইতোমধ্যে গাড়িগুলো প্রস্তুত করেছে। এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রকার বিপণন কার্যক্রম চালু না করেই গাড়িগুলোর একটি বড় অংশ বিক্রিও করে ফেলেছে। যা ডিএফএসকে গ্লোরি হিসেবে বাজারজাত করা হচ্ছে। এর মধ্যে পিক-আপ ট্রাক, বাস এবং পূর্ণ আকারের কনটেইনার ট্রাকও রয়েছে।
বর্তমানে, বাংলা কার লিমিটেড ইন্দোনেশিয়া থেকে ইঞ্জিন এবং জাপানের ইসুজু কোম্পানি থেকে চ্যাসিস আমদানি করছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বাজারজাতকরণে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও চলতি বছরেই প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব অভ্যন্তরীণ ডিজাইনিং টিমের সাথে ১২ টি বিভিন্ন ধরণের যানবাহন তৈরির পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎচালিত গাড়িও রয়েছে। চীনের অটো প্রস্তুতকারক ‘ডিএফএসকে'র সাথে ১০ বছরের চুক্তিতে কাজ করছে বাংলা কার। বাংলা কার লিমিটেড বাংলাদেশে উৎপাদন, বিপণন ও সেবার একটি সমন্বিত ভিত্তি গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলা কারের শোরুমে বিভিন্ন রঙ এবং বিভিন্ন ধরনের গাড়িগুলো প্রদর্শন করা হয়।
বাংলা কার এবং বাংলাদেশে গাড়ি শিল্প
সাধারণত, মা এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ডিএফএসকে-এর গ্লোরি আই অটো সরাসরি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। অন্যদিকে, বাংলা কার্স লিমিটেড ডিএফএসকে-এর অনুমোদিত অ্যাসেম্ব্লার। বাংলা কার এবং ডিএফএসকে-র মধ্যে চুক্তিটি ছিল দেড় বছরের। করোনাভাইরাস প্রভাবের কারণে তাদের মধ্যকার কার্যকলাপ আর সামনের দিকে এগোয়নি।
কিন্তু বাংলা কার্স লিমিটেড চীন, ভারত, জাপান এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো বিশ্বব্যাপী নামী-দামী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে গাড়ির যন্ত্রাংশ দেশে এনে গাড়ি তৈরি করে আসছে। গাড়ির ইঞ্জিনের জন্য জাপানের ইসুজু, চীন থেকে বডিপার্টস এবং ইন্দোনেশিয়ার চ্যাসিস নিয়ে তারা গাড়ি তৈরি করছে।
যেখানে হাভাল কোম্পানির গাড়িগুলো আসে সরাসরি চীন থেকে, টয়োটা গাড়িগুলো আমদানি হয় জাপান থেকে, সেখানে বাংলা কার তৈরি হচ্ছে সম্পূর্ণ বাংলাদেশে।
পিএইচপি বানাচ্ছে ফোটনের গাড়ি, প্রগতি তৈরি করছে মিতসুবিশির গাড়ি, আর বাংলা কার্স লিমিটেড তৈরি করছে বাংলাদেশেরই গাড়ি। কিন্তু ফোটন বা মিতসুবিশির মত দুয়েকটা মডেল নয়, তারা যে কোনো মডেলের গাড়িই তৈরি করতে সক্ষম।
গাড়িটির বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হলেও আনুষ্ঠানিক যাত্রা এখনও শুরু হয়নি। গত ২৬ মার্চ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চলমান মহামারী পরিস্থিতির কারণে সেটা পিছিয়ে যায়। তবে এ পর্যন্ত ১১৪টি গাড়ি বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইতোমধ্যে ১৮১-১৮২ তেজগাঁওয়ের ঠিকানায় তাদের একটি শোরুম আছে। তারা সেখানে ৮টি ভিন্ন রঙের গাড়ি প্রদর্শন করছে। এগুলো হলো- রেড ওয়াইন, ইলেকট্রিক ব্লু, মিড-নাইট ব্লু, বাদামী, সাদা, সিলভার, লাল এবং কালো। এগুলো ছাড়াও তারা ক্লায়েন্টদের প্রয়োজন মত অন-ডিমান্ড রঙের গাড়ি দিতে প্রস্তুত। ২০২১ সালের নতুন মডেলের গাড়ি ইতোমধ্যে শোরুমটিতে তোলা হয়েছে।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এই জাতীয় একটি এসইউভি (স্পোর্টি ইউটিলিটি ভেহিকল) এর জন্য ১ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হয়, সেখানে এটি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩০ লক্ষ টাকায়। কিন্তু করোনা মহামারীর কথা বিবেচনায় আনা হলে, বর্তমানে কমতে থাকা আয়ের মানুষদের পক্ষে ঐ দামে গাড়ি কেনার ব্যাপারটা কতটুকু অনুকূল হবে তা বলাই বাহুল্য। ইতোমধ্যে গাড়ি ক্রেতাদের মাঝে যে গুঞ্জন উঠে আসছে তাতে বোঝা যাচ্ছে, দেশীয় গাড়িকে ক্রয়যোগ্য করে তুলতে হলে আরো বেশী বাজেট বান্ধব হওয়া জরুরী।
বাংলা কার-এর বৈশিষ্ট্য
চলুন, দেশীয় ব্র্যান্ডের এই গাড়িটি সম্পর্কে আরও কিছু জেনে নেয়া যাক।
• ১০০ এরও বেশি ভয়েস কমান্ডের সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ভার্চুয়াল সহকারী ব্যবস্থা এবং যে কোনো স্থান চিহ্নিত করার জন্য ২৮টি স্বতন্ত্র ভয়েস কমান্ড রয়েছে।
• থাকছে দেড় লিটার টার্বো ইঞ্জিন এবং ট্রিপটোনিক মুড পাওয়ার প্যাক স্বয়ংক্রিয় থেকে ম্যানুয়াল এবং ম্যানুয়েল থেকে স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সমিশনে খুব সহজে পরিবর্তন করার জন্য।
• নিরবচ্ছিন্ন সংযোগের পাশাপাশি বোল্ড স্পোর্টি লুক ।
• সুরক্ষার নিমিত্তে আপনার যাত্রা রেকর্ড করার জন্য আধুনিক এলইডি পার্কিং লাইট, ফগ ল্যাম্প এবং ইনফিনিট স্টারলাইট গ্রিল ডিভিআর ক্যামেরাসহ হেডলাইট ।
• সেরা লেদার এবং প্রাইম গ্রেড উপকরণ দিয়ে সজ্জিত আভ্যন্তরীণ সজ্জা ।
• মাল্টিমিডিয়া কনসোল নিয়ন্ত্রক দ্বারা চালিত বিনোদনের বৃহৎ এবং বর্ধিত ইন্টারফেসের জন্য ৯ ইঞ্চির ইনফোটেইনমেন্ট ডিসপ্লে।
• ব্লুটুথ সংযোগ- সহজ সংযোগের জন্য ইউএসবি এবং সহায়ক আর্মরেস্ট ।
• জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ সহ স্বয়ংক্রিয় এসি ।
• পর্যাপ্ত লেগরুমসহ ৭টি সিট ।
• ড্যাশবোর্ডের স্টিয়ারিং হুইলে রাখা চারটি এয়ারব্যাগ এবং হাঁটুর সুরক্ষার জন্য লো-মাউন্ট ।
• আনন্দদায়ক শব্দ অভিজ্ঞতার জন্য একাধিক স্পিকার সমৃদ্ধ অডিও সিস্টেম ।
• পাওয়ার আউটপুট এবং দক্ষতার উন্নতির জন্য নতুন জেনারেশনের ৬ স্পিড সিভিটি গিয়ারবক্স ।
• টায়ারের চাপের উপর নজর রাখার জন্য টায়ার প্রেসার মনিটরিং সিস্টেম ।
• চলন্ত অবস্থায় স্মার্ট টায়ার সেন্সরগুলির সাথে ডাইনামিক ৩৬০ ডিগ্রি পার্কিং ক্যামেরা ঝামেলা মুক্তভাবে গাড়িকে পার্ক করে ।
• আঁকাবাঁকা/ভাঙা রাস্তায় স্থিতিশীলতার সাথে তীক্ষ্ণ বাঁক নেয়ার শক্তি দেয়ার জন্য ট্র্যাকশন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ।
• ডিজিটাল এবং অ্যানালগ স্পিডোমিটার ক্রুজ নিয়ন্ত্রণ ।
• বিল্ট-ইন ন্যাভিগেশন সিস্টেম ।
• ট্রাঙ্কে সুবিধাজনক অ্যাক্সেসের জন্য গাড়ীর ভিতরে এবং বাইরে উভয় দিক থেকে বোতামের সাহায্যে স্বয়ংক্রিয় পাওয়ার ট্রাঙ্ক খোলার ব্যবস্থা
• রেড ক্যালিপার্সের সাথে ১৮ ইঞ্চি অ্যালয় রিম্স যা আপনাকে বোতাম টিপে অথবা আপনার ভার্চুয়াল সহকারীকে ভয়েস কমান্ড দিয়ে শক্ত গ্রিপের সাথে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর ক্ষমতা দেয়।
• সামনের এবং পিছনের উভয় সিট থেকে আবহাওয়া উপভোগ করার জন্য ২ স্তরের প্যানোরামিক সানরুফ।
• পাঁচ বছরের ওয়্যারেন্টি এবং গ্যারান্টি ।
বাংলা কার-এর ভবিষ্যত
বাংলা কার-এর সামনের দিনগুলো নিয়ে হোসেন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জাকির হোসেন খুবই আশাবাদী। বাংলা কার্স লিমিটেড তাদের নিজস্ব ডিজাইন দিয়ে গাড়ি তৈরি করছে। নারায়ণগঞ্জের কারখানা থেকে তৈরি করা হবে ১২ ধরণের গাড়ি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যক্তিগত গাড়ি, বাস, ট্রাক, লরি, পিকআপ ইত্যাদি।
প্রথম পর্যায়ে দেশের ৮টি বিভাগের প্রত্যেকটিতে শোরুম চালু হবে। এছাড়া, গাড়ি নির্মাতা সংস্থা সারা দেশে আরও ৩০ টি শোরুম চালু করতে যাচ্ছে।
প্রতিটি গাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে, উৎপাদন সংক্রান্ত সমস্ত কার্য সম্পাদিত হবে ঘরোয়া ব্র্যান্ড এবং ডিজাইনের কথা মাথায় রেখে। অতঃপর, বাংলা কার্স লিমিটেড গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে .৮০০ থেকে ৫০০০ সিসি পর্যন্ত গাড়ি সরবরাহ করার পরিকল্পনা করছে। সবকিছু যদি পরিকল্পনা মাফিক চলে, তবে তারা আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে গাড়ি রপ্তানি করতে সক্ষম হবে। এমনকি টয়োটার মতো দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রপ্তানি করার ব্যাপারেও তারা যথেষ্ঠ আশাবাদী। বাংলাদেশের তৈরি গাড়িগুলোকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হবে।
২০২২ সালে তারা চালু করতে চলেছে বৈদ্যুতিক গাড়ি। সেই সূত্রে, বিশ্ব জুড়ে অটোমোবাইল শিল্পে বাংলাদেশের নিজের একটা শক্ত অবস্থান তৈরি হবে।
বাংলা কার ব্যবহারকারীরা গাড়ি সংক্রান্ত সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা পাবেন বাংলাদেশ থেকেই। গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ হাজার গাড়ি বাজারজাত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এভাবে নিশ্চিতভাবেই বৈদ্যুতিক যানবাহন সহ তারা সব ধরণের যানবাহনকে রাস্তায় নামাতে পারবে। ফলশ্রুতিতে, বাংলাদেশ অর্থনীতিতে বাংলা কার-এর তাৎপর্যপূর্ণ অবদান থাকবে।