যোগগুরু রামদেবের ফার্মেসিসহ ১৬ ভারতীয় কোম্পানির ওষুধ নেপালে নিষিদ্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিসেম্বর ২২, ২০২২, ০৩:১২ এএম

যোগগুরু রামদেবের ফার্মেসিসহ ১৬ ভারতীয় কোম্পানির ওষুধ নেপালে নিষিদ্ধ

মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ড মেনে চলতে ব্যর্থ হওয়ায় ভারতের যোগগুরু রামদেবের দিব্যা ফার্মেসিসহ ১৬টি ভারতীয় কোম্পানির ওষুধ আমদানি নিষিদ্ধ করেছে নেপাল।

ভারতের প্রখ্যাত যোগগুরু রামদেব। ছবি: সংগৃহীত

রামদেবের সংস্থা ছাড়াও কালো তালিকায় রয়েছে ভারতের র‌্যাডিয়েন্ট পেরেন্টেরালস লিমিটেড, মার্কারি ল্যাবরোটরিজ লিমিটেড, অ্যালায়েন্স বায়োটেক, জি ল্যাবরেটরিজ, ক্যাডিলা হেল্থকেয়ার লিমিটেড, জিএলএস ফার্মা, আইপিসিএ ল্যাব। এছাড়াও আরও একাধিক ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

নেপালের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে নেপাল সরকার।

আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ায় ভারতীয় কোম্পানির তৈরি কাশির সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর অভিযোগে ডব্লিউএইচও-এর সতর্কতার পর এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে, গত ১৮ ডিসেম্বর নেপালের ‘ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ দফতর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, তারা যেন দ্রুত ওষুধগুলো ফিরিয়ে নেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কালো তালিকাভুক্ত ভারতীয় সংস্থাগুলোর উৎপাদিত ওষুধ আমদানি বা বিতরণ করা যাবে না।

নেপাল প্রশাসন সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত এপ্রিল এবং জুলাইয়ে নেপালের একটি বিশেষজ্ঞ দল ভারত পরিদর্শন করে। ভারতের একাধিক ওষুধ সংস্থা নেপালে ওষুধ রফতানি করতে চায়। সেই দল ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলোর অন্দরে গিয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে এসেছেন। হাতেকলমে জেনে এসেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করে দেওয়া মানদণ্ড যথাযতভাবে রক্ষিত হচ্ছে কি না। তারপরই এই কালো তালিকা প্রকাশ করল নেপাল।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের অক্টোবরে গাম্বিয়ায় কিডনি বিকল হয়ে ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে,  ভারতীয় কোম্পানি মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি সিরাপই পাঁচ বছরের কম বয়সী ওই শিশুদের কিডনি বিকল হওয়ার কারণ।

Link copied!