কতটা বাস্তব পুতিনের পরমানু অস্ত্রের হুমকি? ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ দখলে নিতে গিয়ে পুতিন বাহিনী এরমধ্যেই টের পেয়ে গেছে যুদ্ধ সহসাই শেষ হচ্ছে না। ইউক্রেনে অব্যাহত রুশ হামলার মুখে দেশটি থেকে ১০ লাখেরও বেশি নাগরিক পাশের দেশগুলোতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এমন অবস্থায় পরমানু ইউনিটকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়ার মধ্যে দিয়ে পরোক্ষভাবে পারমানবিক হামলার হুমকি দিয়ে রেখেছেন পুতিন।
এরপর যে প্রশ্নগুলো সামনে আসছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাশিয়ার পারমানবিক অস্ত্রের সক্ষমতা নিয়ে। ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড্যাকোটা এস রুডেসিল পুতিনের হুমকি নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছেন, “পুতিনের হুমকি কিছুটা রহস্যে ঘেরা, চূড়ান্তভাবে ভয়াবহ আর পারমানবিক অস্ত্রই একমাত্র বিষয় যা দিয়ে তিনি হুমকি দিয়ে থাকেন “। পরাক্রমশালী রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সৈন্যরা যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তাতে বাধ্য হয়েই নাকি পুতিনকে পরমানু অস্ত্রের বিষয়ে ভাবতে বাধ্য করেছে বলে মনে করেন রুডেসিল। ২০২২ সালের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের ৯টি দেশের কাছে ১২ হাজার ৭০০টি পারমানবিক বোমা আছে। যার মধ্যে শুধু রাশিয়া (৫,৯৭৭) এবং যুক্তরাষ্ট্রের(৫,৪২৪) কাছেই আছে মোট বোমার ৯০ শতাংশ।
ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক আলেকজান্ডার লানোস্কা যদিও এই হুমকিকে পুতিনের কৌশলগত অবস্থান হিসেবে দেখছেন। তার ধারণা, অনেক আগেই এবারের এ কৌশলটি অবলম্বন করলেন পুতিন। হুমকির পর যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে বড় ধরণের কোন তৎপরতা দেখা না যাওয়ায়, নিছক একটি হুমকি হিসেবেই দেখা হচ্ছে। রাশিয়ার মোট পারমানবিক অস্ত্রের মধ্যে সাগরে রাখা আছে ১৬শ বোমা আর বাকিগুলো আকাশ এবং স্থল থেকে নিক্ষেপের জন্য রাখা আছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিক্ষেপ করা পারমানবিক বোমায় ৪ লক্ষাধিক বেসামরিক লোক নিহত হয়।
যুদ্ধের ভয়াবহতায় কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন মিত্র বাহিনীর কাছে বাধ্য হয়ে আত্মসমর্পন করতে হয় জাপানকে।