শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি?

স্বাস্থ্য ডেস্ক

অক্টোবর ১০, ২০২২, ০৬:৪১ পিএম

শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি?

হুট করেই পরিবারের সবচেয়ে ছোট্ট সদস্যটির জ্বর। বাসার সবাই টেনশনে ব্যতিব্যস্ত কীভাবে তাপমাত্রা কমানো যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিশুর জ্বর সাধারণত সর্দি-কাশি, ফ্লু থেকে হয়। জ্বরের মাত্রা অনেক বেশি না হলে একে ক্ষতিকারক হিসেবে না ভাবতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। 

তাদের মতে, শিশুর জ্বর সহনীয় মাত্রার মধ্যে থাকলে শিশু যেমন স্বস্তিতে থাকে, তেমনি মা-বাবাও কিছুটা দুশ্চিন্তামুক্ত থাকেন। অল্প মাত্রার জ্বর সাধারণত কোনো ক্ষতি সাধন করে না, বরং উপকারী। সেই কারণে অল্প মাত্রার জ্বর সারাতে ওষুধ প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না।

শিশুর জ্বর হলে করণীয়

> শরীরের তাপমাত্রা ৩৭.২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি থাকলে প্রতি ডিগ্রি জ্বর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ৭ মিলিগ্রাম/প্রতি কেজি হিসেবে পানি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এ জন্য জ্বরের কারণে শিশুর শরীরে জলীয় পদার্থের প্রয়োজন বেড়ে যায়। জ্বর আক্রান্ত শিশু রোগীকে বেশি পরিমাণে পানি পান করানো ও তরল খাবার বারবার খাওয়ানো উচিত।

> শিশুর অতিরিক্ত জ্বর আসলে তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে ঈষদুষ্ণ পানিতে মাথা থেকে পা পর্যন্ত সারা শরীর মুছে দিতে হবে। জ্বরের তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নামাতে হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে এভাবে গা মুছে দিলে তাপমাত্রা কমে আসে। তবে স্পঞ্জ করানোর ৩০ মিনিট আগে শিশুকে প্যারাসিটামল দিলে তা বেশি কার্যকর হয়ে ওঠে।

> শিশুর জ্বর নিবারণে সর্বাপেক্ষা নিরাপদ ও কার্যকর ওষুধ প্যারাসিটামল। ১৫ মিলিগ্রাম/প্রতি কেজি হিসেবে চার থেকে ছয় ঘণ্টা পর পর এই ওষুধ শিশুকে দেওয়া যায়। তবে দৈনিক পরিমাণ যেন ৬০ মিলিগ্রাম/প্রতি কেজির বেশি না হয়। প্যারাসিটামল খাওয়ানোর দুই ঘণ্টা পর শিশুর জ্বর প্রায় ২-৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত নেমে আসে। তবে বেশি মাত্রার জ্বর, যেমন১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকলে প্যারাসিটামল কার্যকর হয়ে উঠতে পারে না।

>শিশুর জ্বর কমাতে এই ঔষুধও প্রাথমিকভাবে ডোজ ১০ মিলিগ্রাম/প্রতি কেজি ওজন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রতিবার এই ওষুধ প্রয়োগের পর প্রায় আট ঘণ্টা পর্যন্ত জ্বর কম থাকে। তুলনায় প্রতি ডোজ প্যারাসিটামল খাওয়ানোর পর শিশুর জ্বর না থাকার সময়কাল হলো চার ঘণ্টার মতো।

তবে শিশুর জ্বরের আসল কারণ খুঁজে বের করা উচিত। জ্বর সারানোর জন্য চিকিৎসকের ব্যবস্থাপনা মেনে চলতে হবে।

Link copied!