ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিজ্ঞানী এ.পি.জে. আবদুল কালাম বলেছেন, সাফল্য তখনই যখন আপনার স্বাক্ষরখানা একটি অটোগ্রাফ হয়ে ওঠে। অর্থাৎ অক্ষরজ্ঞান হলে পরে স্বাক্ষর সবাই দিতে পারে, অটোগ্রাফ দিতে পারার যোগ্যতা আসে সাফল্য লাভের পরে। এই স্বাক্ষর নিয়ে বহু আলোচনা আছে। হাস্যরস আছে। তবে ভারতের গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের এক কর্মকর্তার এক স্বাক্ষর নিয়ে রীতিমত আলোচনায় মেতেছে নেটদুনিয়া।
কর্মজীবনে বহু মানুষের বহু রকম স্বাক্ষর দেখা যায়। স্বাক্ষর যেন কেউ নকল করতে না পারে, সেজন্য অনেকেই নিজের স্বাক্ষরে ভিন্নতা রাখার চেষ্টা করেন। অনেকেই চেষ্টা করেন, তিনি ছাড়া আর কেউ যেন স্বাক্ষরটি করতে না পারে। এই চেষ্টা থেকেই কিনা কে জানে, গুয়াহাটির ওই কর্মকর্তা এমন এক স্বাক্ষর রপ্ত করেছেন যে, সেটি দেখতে হাতে আঁকা ময়ূর অথবা সজারু বলে আলবৎ চালিয়ে দেওয়া যাবে!
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই স্বাক্ষর ভাইরাল হয়েছে।
শুধু তাই নয়, স্বাক্ষরটি নিয়ে মিমের বন্যা বইছে। কেউ রসিকতা করে বলেছেন, স্বাক্ষরকারী হয়তো সজারু আঁকতে চেয়েছিলেন। আবার অনেকেই এই স্বাক্ষরের সঙ্গে পেখম মেলা ময়ূরের সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছেন।
স্বাক্ষরটি ভারতের গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের অস্থি বিভাগের রেজিস্ট্রারের বলে দাবি করা হচ্ছে। রমেশ নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী এই স্বাক্ষরটি শেয়ার করেছেন।
সেই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, আমি অনেক ধরনের স্বাক্ষর দেখেছি। কিন্তু এটি সর্বশ্রেষ্ঠ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাক্ষরটি শেয়ার হওয়ার পর কেউ কেউ এই স্বাক্ষরের সঙ্গে সজারুর তুলনা টেনেছেন। কেউ আবার ড্যান্ডেলিয়ন ফুলের ছবি দিয়ে তার সঙ্গে তুলনা করেছেন। অনেকে আবার আরো বিচিত্র স্বাক্ষর পোস্ট করেছেন।
ভাইরাল হওয়া গুয়াহাটি কলেজের সেই স্বাক্ষরের নীচে তারিখ দেওয়া ৪ মার্চ। স্বাক্ষরের উপরে লেখা ‘ভেরিফায়েড’। এটি নিয়ে রসিকতা করে অনেকে তার ওপর রঙ লাগিয়ে সজারু কিংবা ময়ূরও এঁকে দেখিয়েছেন।
সূত্র: আনন্দবাজার।