নভেম্বর ৮, ২০২১, ০৬:৪২ পিএম
সরকার এবং পরিবহন মালিক সমিতিসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের সাজানো নাটকে জ্বালানি তেল ও গণপরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
সোমবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর পল্টন মোড়ে জ্বালানি তেল এর মূল্য কমানো এবং বাস-লঞ্চের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ জোটের নেতারা ওই অভিযোগ করেন।
এর আগে, পল্টন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মুক্তাঙ্গন, নূরহোসেন স্কোয়ার হয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলটি এগিয়ে গেলে সচিবালয়ের পূর্ব গেইটে পুলিশি বাঁধার সম্মুখীন হয়। এসময় সড়কে অবস্থান গ্রহণ করে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও তেল পাচারের অজুহাত দেখিয়ে লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে লিটার প্রতি ৪৬ টাকা ৬৩ পয়সায় তেল কিনে সরকার ৮০ টাকায় জনগণকে কিনতে বাধ্য করছে। সরকার তিন ধরনের শুল্ক, রিফাইন খরচ, জাহাজ খরচ ও পরিবহন বাবদ এখান থেকে প্রায় ৩৪% অর্থাৎ লিটারপ্রতি ১৯ টাকার বেশি তুলে নিচ্ছে। এভাবে শুল-ভ্যাটসহ সরকার গত ৭ বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। মুনাফা থেকে মাত্র ৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকী প্রদান করলেই অথবা কর কমালেই তেলের দাম বাড়ারেনার কোন প্রয়োজন হতোনা বরং কমানো যেতো।
সমাবেশে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জ্বালানি তেল এর মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে কৃষি, পরিহন, শিল্প ও বিদ্যুতে ব্যাপকভাবে পড়বে।তারা বলেন, চাল, ডাল, তেল, পিয়াজসহ দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে এমনিতেই জনজীবনে দুর্বিসহ অবস্থা বিরাজ করছে। সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ না করে সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দিয়েছে। তার উপর জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি জনগণের কাছে ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’এর সামিল।
বক্তারা অবিলম্বে ডিজেল, কেরোসিন, ফার্নেস অয়েল, এলপিজি ও অটোগ্যাসের বর্ধিত মূল্য এবং পরিবহনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। অন্যথায় জনগণকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে সররকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
সমাবেশে জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতা সিপিবি’র সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজ্জাদ জহির চন্দন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কমরেড আকম জহিরুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পদক কমরেড মোশরেফা মিশু।