চলছে বিশ্বকাপ ফুটবলের মৌসুম। ফুটবলের নান্দনিক এক কৌশল হল ড্রিবলিং। ড্রিবলিং মানে শুধু বল নিয়ে কারিকুরি দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে নাচানো না। ড্রিবলিং মানে এক বা একাধিক ট্রিক্স খাটিয়ে প্রতিপক্ষকে পাশ কাটিয়ে বল নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া। সেই ট্রিক্সটা ব্রাজিল লিজেন্ড গ্যারিঞ্চার মতো বডি ডজে হতে পারে, জিদান-ক্রিশ্চিয়ানোর মতো ওভার-স্টেপিংয়ে হতে পারে, রোনালদিনহোর মতো ইলাস্টিক মুভে হতে পারে, সুয়ারেজের মতো নাটমেগে হতে পারে, মেসির মতো ক্লোজ কন্ট্রোলে বল পায়ের সাথে আঠার মতো লাগিয়ে হতে পারে। কিংবা গ্যারেথ বেলের মতো জাস্ট গতি দিয়েও হতে পারে! মোট কথা নিকটবর্তী প্রতিপক্ষকে বিট করে সামনে আগাতে পারলেই তা ড্রিবল হবে।
ড্রিবলিং ফুটবল খেলার একটি কৌশল। ফুটবল খেলা ছাড়াও হকি, বাস্কেট বল ও ওয়াটার পোলো খেলায়ও ড্রিবলিংয়ের কৌশল প্রচলিত। ফুটবল খেলায় পায়ে পায়ে বল গড়িয়ে নেওয়াকে ড্রিবলিং বলে। সতীর্থকে সঠিকভাবে বল জোগান দেওয়ার জন্য ড্রিবলিং করা হয়। সফল ড্রিবলিংয়ের মাধ্যমে বলের নিয়ন্ত্রণ এবং সেই নিয়ন্ত্রণ থেকে জোরলো আক্রমনেই আসে গোল। আর গোল এলে তো আমরা জানিই জয় পাওয়া যায়।
ড্রিবলিং ফুটবল খেলার একটি কৌশল। ফুটবল খেলা ছাড়াও হকি, বাস্কেট বল ও ওয়াটার পোলো খেলায়ও ড্রিবলিংয়ের কৌশল প্রচলিত। ফুটবল খেলায় পায়ে পায়ে বল গড়িয়ে নেওয়াকে ড্রিবলিং বলে। সতীর্থকে সঠিকভাবে বল জোগান দেওয়ার জন্য ড্রিবলিং করা হয়।
ড্রিবলিং দুই রকমের হতে পারে: পায়ের কাছাকাছি বল রেখে ড্রিবলিং এবং বল সামান্য দূরে রেখে ড্রিবলিং। পায়ের কাছাকাছি বল রেখে ড্রিবলিং করার ক্ষেত্রে ড্রিবলার দুই পায়ের ভেতরের অংশে বল রেখে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে বোকা বানায় অর্থাৎ ড্রিবলিং করে। দ্বিতীয় ড্রিবলিংয়ের ক্ষেত্রে ড্রিবলার বল সামনে বাড়িয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে পাশ কাটিয়ে দ্রুত দৌঁড়ে আবার আয়ত্তে আনে।
প্রতিপক্ষ কোনো খেলোয়াড়কে বোকা বানিয়ে বল পাশ কাটিয়ে সামনে নিতে পারাকে একটি সফল ড্রিবলিং বলে। ফুটবল, বাস্কেটবল, হকি, হ্যান্ডবলের মতো খেলাগুলোতে যেখানে বল দখলের জন্য উভয় দলের সব খেলোয়াড়কে ব্যস্ত থাকতে হয়, সেখানে ড্রিবলিং অনেক কার্যকর একটা টেকনিক, বিশেষ করে ফুটবল খেলায় ড্রিবলিং সব ফুটবলারের জন্যই একটা বেসিক স্কিল।
দলের ফরোয়ার্ড থেকে শুরু করে গোলকিপার পর্যন্ত সবারই এই স্কিলটা কমবেশি আয়ত্তে থাকতে হয়। একটি সফল ড্রিবলিং ড্রিবলারের জন্য গোল করার সুবিধা এনে দেয়। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার পক্ষের খেলোয়াড়ের জন্য স্পেস ক্রিয়েট করে। ফুটবল ইতিহাসের সেরা ড্রিবলার হিসেবে পরিচিত ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি গারিঞ্চা। ১৯৬২ বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ান কালো মানিক খ্যাত পেলে ইনজুরিতে পড়লে ব্রাজিল দলকে একাই টেনে নেন গারিঞ্চা। তাঁর একক নৈপুণ্যে ও সফল সব ড্রিবলিংয়ের কারণে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিতে নেন তাঁরা। আসরের সর্বোচ্চ চারটি গোল করেন তিনি এবং জিতে নেন গোল্ডেন বলও।
এই সময়ের সেরা ড্রিবলারদের মধ্যে মেসি এবং নেইমারের নাম উল্লেখ করা যায়। কাতার বিশ্বকাপে তাঁদের নয়নাভিরাম ড্রিবলিং দেখতে মুখিয়ে আছে এখন ফুটবলপ্রেমীরা।