মার্চ ১২, ২০২৩, ০৫:৪৯ পিএম
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং তারাই আসছে সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
রবিবার সরকারি বাসভবন গণভবনে ঢাকা সফররত যুক্তরাজ্যের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এফসিডিও) প্রতিমন্ত্রী (ইন্দো-প্যাসিফিক) অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের সাথে সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, রোহিঙ্গা ইস্যু ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, করোনা মহামারি এবং কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় স্থান পায়।
আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ ওয়েস্টমিনস্টার ধরনের গণতন্ত্র অনুসরণ করে। আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং তারা নির্বাচন পরিচালনা করবে।”
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, “গণমাধ্যম এখানে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে। একসময় দেশে একটি মাত্র টেলিভিশন চ্যানেল ছিল। কিন্তু তার সরকার বেসরকারি খাতে টেলিভিশন চ্যানেলকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে।” এসময় সরকারপ্রধান আরও বলেন, এখন ২৪টি প্রাইভেট টিভি চ্যানেল রয়েছে এবং আরও টিভি চ্যানেল পাইপলাইনে রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ইন্দো প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) সদস্য থেকে উত্তরণের পথে বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের পরবর্তী ধাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ান বলেন, তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
রোহিঙ্গা শিবিরে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সুন্দরভাবে মোকাবিলায় প্রশাসনের প্রশংসাও করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীতে বিপুল সংখ্যক নতুন শিশুর জন্ম হয়, যা বাংলাদেশের ওপর বোঝা আরও তীব্র করছে।
করোনা মহামারি গোটা বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আরও খাদ্য উৎপাদনের ওপর জোর দিয়েছে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে যুক্তরাজ্যের ইন্দো প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রীর বৈঠকের সময় অন্যদের মধ্যে নঅ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন উপস্থিত ছিলেন।