কপ-২৬: অস্বস্তি রেখে স্বাক্ষরিত ‘নয়া জলবায়ু চুক্তি’

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

নভেম্বর ১৪, ২০২১, ০৯:২৮ এএম

কপ-২৬: অস্বস্তি রেখে স্বাক্ষরিত ‘নয়া জলবায়ু চুক্তি’

বহুল আলোচিত কপ-২৬ সম্মেলন শেষ হয়েছে। যে আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে শুরু হয়েছিল তার অনেকটাই বাস্তবায়ন করার মতৈক্য পৌঁছেছেন বিশ্ব নেতারা। তাদের মতৈক্যের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত হয়েছে, ‘নয়া জলবায়ু চুক্তি’। স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ‘গ্লাসগো জলবায়ু চুক্তি’ চূড়ান্ত হয়।

এ সময় আনন্দে কপ-২৬ সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট ব্রিটিশ মন্ত্রী অলোক শর্মা কেঁদে ফেলেন।

যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক কপ-২৬ সম্মেলনে প্রায় ২০০ টি দেশের নেতারা দুই সপ্তাহ ধরে আলোচনা করে একটি চুক্তিতে সই করতে সম্মত হয়েছেন। তবে, কয়লার ব্যবহার একবারে বন্ধের পরিবর্তে ব্যবহার কমানো নিয়ে অস্বস্তি থেকে গেছে।

‘গ্লাসগো জলবায়ু চুক্তি’ কয়লা, জীবাশ্ম জ্বালানী এবং গ্রীন হাউজ গ্যাসের ব্যবহার কমানোর ব্যাপারে স্পষ্টভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করে বিস্তারিত পরিকল্পনাসহ স্বাক্ষরিত প্রথম কোন চুক্তি।  

চুক্তিতে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আরও অর্থ বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া কার্বন নিঃসরণ কমানোর কথাও বলা হয়েছে। তবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে ধরে রাখার জন্য এ চুক্তিতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়নি।

ভারতের বাগড়ায় কয়লার ব্যবহার ‘বন্ধের প্রতিশ্রুতির’ কথা বলা হলেও শেষ বেলায় এসে তা কয়লার ‘ব্যবহার কমানোর প্রতিশ্রুতিতে’ শেষ হয়েছে এবারের জলবায়ু শীর্ষক সম্মেলন।

ভারতের জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী ভুপেন্দার যাদব বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোকে যেখানে দারিদ্র বিমোচন ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়, সেখানে তারা কীভাবে জীবাশ্ম জ্বালানিতে ভর্তুকির কথা ভাববে আর কয়লার ব্যবহার বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেবে।’

সম্মেলন চলাকালে খসড়া চুক্তিতে ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহার একেবারে বন্ধের কথা বলা হলেও কিছু কিছু দেশের অস্বস্তি প্রকাশের কারণে চূড়ান্ত চুক্তিতে কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনার কথা বলা হয়। কপ-২৬ সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মা এজন্য ‘গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ’ করেছেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন কপ-২৬ সম্মেলনের অর্জন সম্পর্কে বলেছেন, ‘আমরা আশা করবো বিশ্ব কপ-২৬ সম্মেলনের ফলাফলের দিকে নজর দিয়ে “এটাই জলবায়ু পরিবর্তন বন্ধের শেষ সুযোগ”-এমনটা ভেবেই কাজ করে যাবে।

Link copied!