খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানিয়েছে, দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিদেশে চিকিৎসার কোন নজির খুঁজে পাননি তারা। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুদকের আইনজীবীরা একথা জানান।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেছেন, “খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ইস্যুটির আইনি দিক তিনিও খতিয়ে দেখেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিদেশে চিকিৎসার নজির তিনিও খুঁজে পাননি।”
তিনি বলেন, “তারা যদি একটা নজির আমাদের দেখাতে পারতেন, তাহলে আইনমন্ত্রীর পক্ষেও সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হতো। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো নজির পাইনি।”
এদিকে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ইস্যুতে সরকারের লিখিত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিএনপি। তার আইনজীবীরা বলছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত লিখিত পেলেই আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এবিষয়ে, বুধবার (২২ ডিসেম্বর) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, “খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।”
আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার না জানালেও, আইনে সুযোগ না থাকায় বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি পাচ্ছেন না বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) আইনমন্ত্রীর কথায় বিষয়টি পরিষ্কার হয়। তিনি বলেছিলেন, “আইন ও নজির না থাকায় মানবিক দিক বিবেচনা করারও সুযোগ নেই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ক্ষেত্রে।”
এদিকে, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা অপেক্ষা করছেন সরকারের লিখিত সিদ্ধান্তের। তারা জানান, সিদ্ধান্ত পেলেই নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।
অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, “মন্ত্রী আমাদের বলেছিলেন, আমি আপনাদের সাথে আইনের বিতর্কে যেতে চাই না। আমি বিষয়টি আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবো। আমরা এখন সরকারের লিখিত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। এরপর আমরা কি করবো সে ব্যাপারে ভাববো।”
গত ১৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বেগম জিয়া। ১৭ নভেম্বর তার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তাররা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এই তিন দেশের কোন একটিতে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।