‘ঢাকা-দিল্লির বন্ধুত্ব কৌশলগত সব সম্পর্কের ঊর্ধ্বে’

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্ব কৌশলগত সম্পর্কের ঊর্ধ্বে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। বাংলাদেশের যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে ভারত সর্বপ্রথমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এসেছে বলেও তিনি জানান।

মঙ্গলবার(১৭ আগস্ট) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ৩১টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স ও প্রায় ২০ টন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের কাছ থেকে  উপহার পাওয়া এসব চিকিৎসা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- অক্সিজেন ন্যাজাল ক্যানুলা, অক্সিজেন ফেস মাস্ক, অক্সিজেন ফ্লো মিটার, নন-রিব্রিদার মাস্ক, পালস অক্সিমিটার ডিভাইস, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, ১০ লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন তরল মেডিকেল অক্সিজেন সিলিন্ডার, ৪৫ লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এলএমও সিলিন্ডার, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর এবং ইনফ্রা থার্মোমিটার।

ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য বিষয়ক যে কোনও জরুরী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের নিজস্ব প্রচেষ্টায় যথাসাধ্য সমর্থন অব্যাহত রাখতে ভারত সদাপ্রস্তুত। এই সমর্থন হবে টেকসই, জনকেন্দ্রিক এবং বন্ধুদেশের সর্বোত্তম স্বার্থে।’

বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।জানান, গত ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশ সরকারকে ১০৯ টি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে প্রথম চালানের অ্যাম্বুলেন্সসমূহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি অ্যাম্বুলেন্সগুলিও শীঘ্রই পাঠানো হবে।

ভারতের এই  উপহার বাংলাদেশের জনগণের সাথে অনন্য এবং বিশেষ বন্ধুত্বের প্রতি ভারতের অবিচল এবং দীর্ঘমেয়াদী অঙ্গীকার প্রতিফলিত হয় উল্লেখ করে ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, ‘এই অ্যাম্বুলেন্সগুলি চলমান কোভিড মহামারী মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের ব্যাপক প্রচেষ্টায় সহায়তা করার উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে।’

মহামারি করোনার পরেও অ্যাম্বুলেন্সগুলি জনস্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নে বাংলাদেশের চলমান এবং দৃঢ় প্রচেষ্টায় সহায়ক হবে বলেও তিনি জানান।

• বিষয় :
• আর্কাইভ