ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২, ০৭:০৪ পিএম
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের কিছুই করার নেই— বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, তার (বাণিজ্যমন্ত্রী) বক্তব্যে বোঝা যায় যে আওয়ামী লীগ দেশ চালাচ্ছে না।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, কর্মহীন ও অর্ধাহার-অনাহারক্লিষ্ট দেশবাসীর প্রতি মন্ত্রীর এই বক্তব্য নিষ্ঠুর রসিকতা। সরকারের কিছুই করার না থাকলে ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করার পরামর্শ দেন বিএনপি’র এ নেতা।
রমজান সামনে রেখে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষাপটে এক কোটি হতদরিদ্র পরিবারকে এবার টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে পেঁয়াজ, তেল, ডাল, চিনি, খেজুর ও ছোলা-এই ছয়টি পণ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট হলেও, দাম না বাড়ালে ব্যবসায়ীরা আমদানি বন্ধ করে দিলে সংকট আরও বেশি হতো। কৃষকদের স্বার্থেই পেঁয়াজের দাম বেশি বলেও মনে করেন মন্ত্রী।বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা তো সত্যি কথা যে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। আমরা যেটা চেষ্টা করছি, সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকি দিয়ে সেটা সাধারণ মানুষকে দেওয়া। আমরা চিন্তা করলাম রমজান মাস উপলক্ষে ৫০ লাখ মানুষকে দেওয়া যায় কি না। সেটা ট্রাকের মাধ্যমে নয়, আগে যেভাবে আড়াই হাজার টাকা দিয়েছিল, দুস্থ লোক যারা তাদের কাছে পৌঁছে দেবো।’
‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ৫০ লাখ নয়, এক কোটি মানুষকে সেই ব্যবস্থায় আনতে। আমরা সরকারিভাবে চেষ্টা করছি রমজানকে সামনে রেখে এক কোটি মানুষকে আমরা এ ধরনের সামগ্রী দেবো সাশ্রয়ী মূল্যে। আগে যেভাবে টাকাটা দেওয়া হয়েছে, সেই লিস্ট তো আছে। প্রতিটি ইউনিয়নে টিসিবির মাধ্যমে ওপেনিং করা হবে সেখান থেকে তারা কালেক্ট করে নেবে। যে চারটা পণ্য আমরা দেই সেটার সঙ্গে রমজান মাসে খেজুর ও ছোলা যোগ হবে।’
সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন,‘তেলের দাম আমরা বাড়িয়েছি কারণ ৯০ ভাগ তেল আমরা ইমপোর্ট করি (খাওয়ারটা)। আন্তর্জাতিক বাজারে সেই তেলের দাম বেড়েছে। কন্টেইনার ভাড়া বেড়েছে এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যদি আমরা ঠিক না করে দিই তাহলে তো ব্যবসায়ীরা তেল আনবেই না।’
রাজধানিতে টিসিবির পণ্য কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, পণ্য ক্রয়ের জন্য তাদের ঘন্টার পর ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এমন ভোগান্তিতে ফেলার কোনো মানে নেই। ট্রাকে বিক্রয়ের জন্য পর্যাপ্ত পণ্য না পাওয়ার বিষয়ে টিসিবির ডিলাররা বলেন, পণ্য বাড়িয়ে দিলে বা প্রতিদিন পণ্য দিলে, মানুষের চাহিদা কিছু কমবে। আমরাও মানুষকে সন্তুষ্ট করতে পারব।