মার্চ ১৪, ২০২৩, ০৩:২৯ পিএম
লিবিয়া থেকে অবৈধপথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে একটি নৌকাডুবির ঘটনায় ১৭ বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ইতালির কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে উপকূলে নিয়ে যায়।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবিয়ার উপকূল থেকে অভিবাসনপ্রত্যাসীদের নিয়ে নৌকাটি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়। ওই সময় টহলরত ইতালিয়ান কোস্টগার্ড সদস্যরা ১৭ তাদের উদ্ধার করে।
ইতালীয় সংবাদমাধ্যম এএনএসএ জানিয়েছে, উদ্ধার করা অভিবাসীদের সবাই বাংলাদেশি এবং তাদের সিসিলি দ্বীপের পোজালো শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে লিবিয়া থেকে বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রায় নামা অভিবাসীদের নিয়ে নৌকাটি রবিবার রাতে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। এতে ৩০ অভিবাসী ডুবে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যালাব্রিয়ার কাছে জাহাজডুবির ঘটনায় অন্তত ৭৯ জন অভিবাসীর মারা যায়। ওই ঘটনার দুই সপ্তাহের বেশি কিছু সময় পর ফের দুর্ঘটনা ঘটলো।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অ্যালার্ম ফোন নামের একটি দাতব্য সংস্থা অভিবাসীদের দুর্দশার জন্য ইতালিকে দায়ী করেছে। সংস্থাটির দাবি, অভিবাসীবাহীবোঝাই ওই নৌকাটি সমস্যায় পড়েছে বলে বারবার সতর্ক করলেও ইতালিয়ান প্রশাসন তাদের সাহায্যে কোনো কোস্টগার্ডকে পাঠায়নি।
তবে কোস্টগার্ড সদস্যরা বলছেন, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকাটি ডুবে যাওয়ার এই ঘটনাটি ইতালীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার এলাকার (এসএআর) বাইরে ঘটেছে। শুধু তাই নয়, ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানিও জানিয়ছেন, নৌকাডুবি এড়াতে রোম যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।
প্রসঙ্গত, সমুদ্রপথে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকারী অভিবাসীদের জন্য ইতালি অন্যতম প্রধান এক প্রবেশপথ। কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় এই রুটটি বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক হিসেবে পরিচিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লিবিয়ার বেনগাজি থেকে নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ইতালিতে প্রবেশের চেষ্টা চালায়।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন রিপোর্ট অনুযায়ি, নৌকাডুবির ঘটনায় ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত মধ্য-ভূমধ্যসাগরে অন্তত ২০ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন।