ই-অরেঞ্জের মালিক ও পৃষ্ঠপোষক চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ২৭, ২০২৩, ০১:০০ এএম

ই-অরেঞ্জের মালিক ও পৃষ্ঠপোষক চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের সাথে জড়িত চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। পরোয়ানাপ্রাপ্তরা হলেন- পৃষ্ঠপোষক বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা, ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমান ও ই-অরেঞ্জ কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার বাদী ও বাংলাদেশ ই-কমার্স কনজিউমারস সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ বেলাল হোসেন জুবায়ের সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘সোহেল রানা, সোনিয়া মেহজাবিন, মাসুকুর রহমান ও কাউসার আহমেদ পরস্পর যোগসাজশে ই-অরেঞ্জ শপ তৈরি করে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করেছে। সুপরিকল্পিতভাবে প্রতারণার উদ্দেশ্যে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে দিয়ে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন করিয়ে গ্রাহকদেরকে আকৃষ্ট করা হয়েছে। তারা ৭-৩০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করার কথা থাকলেও ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে পণ্য সরবরাহ করেনি। আদালত আমার করা মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। আমি আশা করি তাদের শাস্তি হবে এবং তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে।’

বাদীপক্ষের আইনজীবী এইচ এম রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর আমাদের মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের প্রতি সমন জারি করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২১ এর বিচারক আরফাতুল রাকিব-এর আদালত। কিন্তু আসামিরা নিজেরা অথবা তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে যাননি। এরপর আমরা আসামিদের প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করি। বৃহস্পতিবার আদালত তা মঞ্জুর করে পরোয়ানা জারি করেন।

উল্লেখ্য, সোনিয়া মেহজাবিন, মাসুকুর রহমান ও কাউসার আহমেদ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। আর সোহেল রানা পলাতক অবস্থায় আছেন।

Link copied!