ট্রেনের ছাদে যাত্রী নেওয়া বন্ধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, ‘এরপর থেকে ট্রেনের ছাদে কোনো যাত্রী পরিবহণ করলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে।’
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আজ আদালতে শুনানিকালে রেলওয়ের তিন কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘রেলে এত অব্যবস্থাপনা কেন থাকবে? কেন টিকিটে কালোবাজারি হবে? কেন মানুষ ট্রেনের ছাদে যাবে? আপনারা কি রেলকে গ্রাস করতে চাইছেন? এ অবস্থা চলতে পারে না।’
আদালত বলেন, ‘রেল আমাদের জাতীয় সম্পদ। সে সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব আপনাদের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে ওঠে। ট্রেন থেকে পড়ে তো দুর্ঘটনাও হতে পারে। আর আপনারা নিশ্চিন্তে ঘুমান। এটা হতে পারে না। আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন।’
এদিকে, রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে আন্দোলনরত মহিউদ্দিন রনির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
গতকাল আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে দুদকের আইনজীবীকে বলেন, ‘রেলের দুর্নীতি-সিন্ডিকেট নিয়ে দুদক কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কি না, তা আমাদের জানান।’
রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা এবং ভোগান্তির প্রতিবাদে ছয় দফা দাবিসহ গত ৭ জুলাই কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে অবস্থান ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেন মহিউদ্দিন রনি। তৃতীয় দিন ৯ জুলাই পুলিশ সদস্যেরা তাঁকে বাধা দেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। ফলে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি স্থগিত রেখে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অবস্থান অব্যাহত রাখেন। এর মধ্যে গত ১৯ জুলাই লংমার্চ শুরু করেন রনি।